Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা ওবায়দুল কাদের -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৩০ পিএম

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নয়াপল্টনে শোডাউন আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়, তাহলে তফশীল ঘোষণার পর কোন সাহসে পুলিশ বিএনপি’র উচ্ছাসমুখর উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে ? এটা কার নির্দেশে এই পৈশাচিক আক্রমণ চালানো হয়েছে ? তবে মানুষ বিশ্বাস করে বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে পুলিশের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত করার নির্দেশদাতা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, একতরফা নির্বাচনে জয়লাভ করায়ত্ত্ব করতে বিরোধী দলশুণ্য করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গতকাল পুলিশ ও আওয়ামী ক্যাডারদের দিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সহিংসতা ও নাশকতা করা হয়েছে। প্রথমেই পুলিশ বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মিছিলে গাড়ী উঠিয়ে দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত করে, এই গাড়ীচাপায় অন্তত: ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ কিভাবে জনগণের ওপর গাড়ী উঠিয়ে দেয় সেটি নির্বাচন কমিশনের নিকট জানতে চাই। এছাড়াও সুপরিকল্পিতভাবে হেলমেটধারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এই হেলমেটধারী কারা তা জনগণ জানে। যারা আগুন দিয়েছে তারা পুলিশের প্রোটেকশনে এই নাশকতার কাজ করেছে, এরা ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঢাকা মহানগর নেতা, যার সুস্পষ্ট প্রমাণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
রিজভী বলেন, গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থী সাক্ষাৎকার ও সেখানে সম্মিলিত হওয়ার দলীয় সভার আয়োজন করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। অথচ এরকম একটি রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ও সরকারী অর্থায়নে সম্পূর্ণরুপে নিয়মবহির্ভূত দলীয় কার্যক্রমের বিষয়ে নিশ্চুপ নির্বাচন কমিশন। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টু শব্দটিও করেন না। গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নির্বাচনী আচরণবিধির ১৪ (২) ধারার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। ঐ ধারানুযায়ী রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন না। শেখ হাসিনার জন্য কোন আইনই প্রযোজ্য নয়। তাঁর যেকোন কথাই আইনের সমতুল্য বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, গণভবনের আশেপাশের রাস্তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আক্রমণ চালায়নি কেন ? শাসকগোষ্ঠীর চোখের ইঙ্গিতেই পুলিশ নড়াচড়া করে। ভোটারশুন্য করে রক্তাক্ত পথেই তারা নির্বাচন পার করতে চায়।
নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার পর অস্ত্র জমা দেয়ার ব্যাপারে এখনো কোন নির্দেশনা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিগত দশ বছরে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হাতে প্রচুর পরিমাণ বৈধ-অবৈধ অস্ত্র দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র জমা দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী হলেও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। এতে প্রমানিত হয়-নির্বাচন কমিশন বিশেষ দলের পক্ষেই নির্বাচনী মাঠ সমতল করছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের তৎপরতা আইনানুগ নয়। কমিশন স্ববিরোধী বক্তব্য রাখছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ, জেড এইচ মর্তুজা চৌধুরি তুলা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ