Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দর্জি নিখিল হত্যাকাণ্ডে আটক ৩

আইএসের অস্তিত্ব নেই বললেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কাপড় ব্যবসায়ী ও দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই জামায়াত নেতা ও এক বিএনপি কর্মীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে গোপালপুর থানা পুলিশ। রোববার ভোরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা থেকে আলমনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, গোপালপুর উপজেলা পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম বাদশা ও বিএনপি কর্মী ঝন্টুকে আটক করা হয়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) আসলাম খান জানান, রোববার ভোরে তাদের আটক করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে গোপালপুর থানায় নিহত নিখিলের স্ত্রী আরতি জোয়ারদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিনজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা ও পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ২০১২ সালে নিখিলের বিরুদ্ধে করা ধর্ম অবমাননা মামলার বাদী ছিলেন। এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের পর আইএস জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম খান জানান, বাংলাদেশে আইএস এর কোন অস্তিত্ব নেই। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এখন পর্যন্ত আইএস এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জলিল জানান, নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার ডুবাইল বাজারের একটি দোকানঘরে থান কাপড় বিক্রি ও থান কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরি কাজ করতেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে একটি মটর সাইকেলযোগে তিন যুবক ডুবাইল বাজারে অবস্থিত নিখিলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আসে। পরে নিখিলের সাথে কথা বলার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে দোকানের অদূরে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে অতর্কিতে পেছন থেকে নিখিলের উপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিখিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। লাশের পাশে বোমা সাদৃশ্য একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে এদিকে রবিবার ভোরে তিনজনকে আটক করার পর তাদের টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিখিল ২০১২ সালে মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা. কে নিয়ে কটূক্তি করায় স্থানীয়দের রোষানলে পড়েছিলো। পরে তার বিরুদ্ধে আটককৃত আলমনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম ধর্ম অবমাননার মামলা করলে ১ মাস ২৪ দিন জেলও খাটে নিখিল। পরে ওই মামলায় সে জামিনে বের হয়ে আসলে গত ৬ মাস আগে মামলা তুলে নেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ