পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিসহ বেশকিছু শর্তে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে ২০ দলীয় জোট। শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানা যায়। ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্ণেল (অব.) ওলি আহমেদ।
বৈঠক শেষে ওলি আহমদ জানান, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে আগামী দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তিনি বলেন, রোববারের মধ্যে জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি ইসিকে জানাতে হবে, সেক্ষেত্রে ২০ দল কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অলি বলেন, অবশ্যই নিবন্ধনভুক্ত যেসব দল আছে, তারা চিঠি লিখবে। চিঠির ভাষা এরকম হবে, যদি আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, সে ক্ষেত্রে আমাদের অনেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে। অনেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করবে, যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। কর্ণেল অলি বলেন, জোটের প্রধান দল বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কথা বলে আগামী দুই দিনের মধ্যে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের প্রধান দাবি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তি, সেটা এখনো পূরণ হয়নি। বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি কাগজে কলমে রয়ে গেছে। এখনো গ্রেফতার, মামলা অব্যাহত রয়েছে। এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকের সভাপতি বলেন, নির্বাচনে যাব কী যাব না, এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আগামী দুই দিনের মধ্যে ২০ দলীয় জোট, আমাদের মূল দল বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জাতির সামনে উপস্থাপন করবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, আমরা নির্বাচনে যাওয়া, না যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। সরকার কথা দিয়েছিল সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে। আমরা মনে করি না যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে। আমরা দেখছি প্রতিনিয়ত বিশেষ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে, রাস্তাঘাটে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে, এসব বন্ধ না করা পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা জানাব না। তিনি বলেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছে, আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বলব, যদি আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, সে ক্ষেত্রে অনেকে আমরা নিজস্ব দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণ করব, অনেকে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অলি আহমদ আরও বলেন, অবশ্যই ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুধু ২০ দলীয় জোট নয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কথা বলে মতামত নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জাতিকে জানানো হবে।
বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান, এলডিপির কর্নেল অলি আহমেদ, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জামায়াতের আব্দুল হালিম, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইসহাক, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নূর হোসেন কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।