পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন প্রজন্মকে মেজর গণির কীর্তিময় জীবন ও আদর্শ চর্চা করার আহ্বাবান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষা বিস্তার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণমুক্ত সমাজ বির্নিমাণে মেজর গণি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। রাষ্ট্র ভাষা বাংলার পক্ষে তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টবাদী। মেজর গণির আদর্শ ও কর্ম প্রতিটি বাঙালির জীবনে প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তিনি বাঙালি জাতির কৃতি সন্তান হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। শনিবার ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, ভাষা আন্দোলনের অগ্র সৈনিক, প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য, জাতীয় বীর বঙ্গশার্দুল মেজর আবদুল গণির ৬২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে মেজর গণি পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন মেজর গণি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। বাঙালি জাতির এক অকুতোভয় সৈনিক। তার হাতে গড়ে উঠেছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মার রণাঙ্গনে মেজর গণির বীরত্বের কারণে বাঙালিদের নিয়ে আলাদা রেজিমেন্ট গঠনের সূত্রপাত হয়। মেজর গণি একজন শিক্ষানুরাগী ছিলেন। দেশে যে বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজ এবং সামরিক স্কুল তা প্রতিষ্ঠায় তিনিই উদ্যোগী হয়ে প্রাদেশিক পরিষদে দাবি তুলেছিলেন। এই গুণী মানুষকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে তার পারলৌকিক মুক্তি কামনা করছি। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে মেজর গণি পরিষদ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কবি ও লেখক ফৌরদৌসি মাহমুদ।
পরিষদের সভাপতি আয়কর আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ফারুক খান ও দিদারুল আলম দিদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম, এফবিসিআইআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক-গবেষক আবুল কাশেম হৃদয়, অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু, মেজর গনি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভূইঁয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শরীফ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইঁয়া, কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এমএ মতিন মোল্লা, অ্যাডভোকেট মমিনুল হক ভূইঁয়া ও মো. কামাল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মেজর গণির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন নাগাইশ দরবার শরীফের পীর মাওলানা মোশতাক ফয়েজী। প্রসঙ্গত, মেজর গণি ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর জার্মানি সফরের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।