পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা কী তা পরীক্ষা করে রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রংপুর কারা ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে (সিভিল সার্জন) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে করা পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে রংপুর থেকে অন্য কোনো জেলায় স্থানান্তর করার সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যথাযথ নিরাপত্তা দেয়ার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত আগামী রোববার এ রিট আবেদন দুটির ওপর শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন। ওই দিন এ বিষয়ে দ্বিতীয় দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ডপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। বিশেষায়িত হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুলের চিকিৎসা ও রংপুর আদালতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মইনুলের স্ত্রী সাজু হোসেন এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, আইজি প্রিজন কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা, আইজি প্রিজন কারা কর্তৃপক্ষ রংপুর, সিভিল সার্জন ঢাকা, সিভিল সার্জন রংপুর, জেলা প্রশাসকসহ ৮জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, রংপুরের আদালতে হাজির করার সময় পুলিশ কাস্টডিতে থাকা মইনুল হোসেনের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া ওই আক্রমণের সময় তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে মইনুল হোসেনের স্ত্রী সাজু হোসেন বুধবার দুটি রিট আবেদন করেন। তার প্রাথমিক শুনানি নিয়েই আদালত অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। মইনুল হোসেনের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘাষণা করা হবে না এবং ভবিষ্যতে মইনুল হোসেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে। আর মইনুল হোসেনকে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- সেই মর্মে রুল ও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল অন্য রিটে। মইনুল হোসেনের বয়স ৭৮ বছর। তিনি হার্টের রোগী। এর আগে তিনি ওপেন হার্ট সার্জারি করেছেন। এছাড়া মইনুল হোসেনের কিডনিসহ নানাবিধ সমস্যাও রয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।