পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720380504](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যানজটে অচল ঢাকা। এক থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পার হতেই সময় লাগছে দুই থেকে তিন ঘণ্টারও বেশি। এতে জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। সরকারি কর্মদিবসের সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক নিয়মেই রাজধানীর সড়কে যানজট থাকে। এর মধ্যে গতকাল বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের পারীক্ষা নিরীক্ষা শেষে পূণরায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে পূণরায় কারাগারে প্রেরণ ও সিইসি’র ভাষণকে কেন্দ্র করে জনমনে নানা সঙ্কার সৃষ্টি হয়। তাই সন্ধ্যার মধ্যেই সকলে ঘরে ফেরার তাড়ায় ছিল। যে কারণে দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। যা বিকেলের পরে চরম আকার ধারণ করে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে পড়তে হয়েছে অসহনীয় যানজটের কবলে। অন্যদিকে বিকালে অফিস ফেরৎ মানুষ ও নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েই নগরবাসীকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। সময়মত যানবাহ পাওয়া যায়নি। মাঝে মধ্যে দু’য়েকটি পাওয়া গেলেও দিতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই অনেককে যেতে হয়েছে নিজ নিজ গন্তব্যে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে এক যোগে বের হলে যানজট প্রকট আকার ধারণ করে। প্রধান প্রধান সড়কগুলোসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। যানজটে আটকা পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সড়কে।
বিশেষ করে রাজধানীর মতিঝিল, শাহজাহানপুর, মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার ও পুরন ঢাকাসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধ্যষিত এলাকাগুলোর সড়কে চলাচল করা যানবাহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে। এতে নগরবাসীর ভোগন্তির শেষ ছিল না। এছাড়াও নগরের অন্যান্য সড়কগুলোতেও এর প্রভাবে তীব্র যানজট লেগে যায়।
ভুক্তভোগী পথচারীরা বলছেন, গতকাল দুপুরের পর থেকেই যানজট তিব্র আকার ধারণ করে। তবে বিকেলে দিকে এ জট আরও দীর্ঘ হতে থাকে। যা সন্ধ্যার দিকে আরও তিব্র আকার ধারণ করে।
বাড্ডা-নতুন বাজার সড়কে কথা হয় মামুন নামের এক পথচারির সাথে। তিনি বলেন, দুপুওে হাতিরঝিল এলাকা থেকে বের হয়ে প্রতিটি রাস্তাই তীব্র যানজট দেখতে পাই। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে নতুন বাজার, নর্দা হয়ে বাড্ডা পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে আছে।
একই অবস্থা রামপুরা রোডেরও। দীর্ঘক্ষণ গাড়ি থেমে থাকতে দেখা যায়। শাহবাগ মোড়ে তো যেন গাড়ি চলছেই না। পোস্তগালা থেকে উত্তরার দিয়াবাড়িগামী রাইদা পরিবহনের যাত্রী আবদুল আলী বলেন, রামপুরা ব্রিজ থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত আসতেই লেগেছে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট সময়।
কাকরাইল থেকে ধানমন্ডি এলাকায় যেতে দেড় থেকে দুইঘণ্টা লেগে যায়। কাকরাইল থেকে ধানমন্ডি এলাকায় যেতে অন্যান্য দিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগলেও জটের কারণে গতকাল চারগুণ সময় লাগছে। শুধু এ সড়কেই নয়, যানজট ছিলো মিরপুর ১, ২, ১০ নম্বর কালশী এলাকাতেও গাড়ি চলছে ধীরগতিতে। মিরপুর-১ নম্বর থেকে কুড়িল বিশ্বরোডে আসতেও প্রতিটি গাড়িকে জটে পড়তে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে বাংলামোটর, ইস্কাটনের সরু রাস্তায় মগবাজার, মালিবাগ অভিমুখী অসংখ্য গাড়ির জটলা। যানবাহনের সারি চলে যাচ্ছে নিউ ইস্কাটন পার হয়ে বাংলামোটরের কাছাকাছি। অন্যদিকে সাতরাস্তার মোড় হয়ে যে সমস্ত যানবাহন চলাচল করছে সেগুলোতো রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। তাদের যেন কোন তাড়া নেই। এভাইে কেটে গেল আড়াই থেকে তিন ঘণ্ট। গাড়ির চালক ও যাত্রীদের বিরক্তি তখন চরম সীমানায়। অনেকেই নেমে এলেন রাস্তায়। সিগন্যাল না ছাড়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে গালাগাল করছেন ইচ্ছেমতো। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের অবস্থা তখন গলদঘর্ম।
নগরীর ব্যস্ত সড়কগুলোর মতোই যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছিল জনজীবনও। যাত্রাবাড়ি-টঙ্গী রুটে চলাচলকারী ছালছাবিল পরিবহনের যাত্রী একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন অলি জানান, আধ ঘণ্টার পথ যদি ৩ ঘণ্টা ব্যয় হয়, তাহলে মানুষ সারাদিন কাজকর্ম করবে কিভাবে? সাতরাস্তার মোড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবুল হোসেন সরদার। তিনি বলেন, এদেশ চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। যাওয়ার পথে ১৬০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে মতিঝিল গিয়েছি। এখন ফেরার সময় যানজটের কারণে গাড়িতে উঠে রাস্তায় বসে থাকতে আর ইচ্ছা হলো না। তাই বাধ্য হয়ে দিলকুশা থেকে পায়ে হেঁটে বনানী যাচ্ছি। এই ভোগান্তি শুধু আবুল হোসেন সরদারের নয়।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী অধিকাংশ লোকজনকেই এই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে হেঁটে ধানমন্ডি যাচ্ছিলেন মতিঝিলের একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ এয়াছিন হাওলাদার। তিনি বলেন, দিলকুশা থেকে বাসে উঠে গুলিস্তান আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। অথচ এই পথ হেঁটে আসতে সময় লাগে ১০ মিনিট। তাই সময় বাঁচাতে হেঁটেই যাচ্ছি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।