রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝিনাইগাতীতে আরেক দফা দাম বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের। এই সময়ে বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে চার-পাঁচ টাকা কেজিতে। তরকারির দাম ও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। পক্ষান্তরে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে হু হু করে। অপর দিকে গরিব মানুষ যে শাক-পাতা সস্তায় খেয়ে বেঁচে থাকে, সেই শাক-পাতার দামও নিন্মআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। সব ধরনের শাকের দাম এখন আরো ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিদ্ধ চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি চার-পাঁচ টাকা। গত দুই-তিন সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে চার-পাঁচ টাকা। চালের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাজারে উচ্চমূল্যের উত্তাপ তো বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ।
কৃষকরা জানান, গত ক’বছর ধরে তারা ধানের উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। সেই হিসেবে তো চালের দাম স্বাভাবিকভাবেই কম থাকার কথা। কিন্তু চালের দাম কেন বেশি, সে হিসাব মেলাতে পারছে না তারা। এ দিকে আমন মৌসুম এ সময় তো আমন চালের দামও কম থাকারই কথা, কিন্তু বাজার চিত্র ভিন্ন কেন তা বুঝতে পারছি না। এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
অন্যান্য চালের কথা বাদই দিলাম, দরিদ্র নিন্ম আয়ের মানুষের মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে কমপক্ষে চার টাকা। মাত্র দুই-তিন সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ৩২ টাকা কেজি, বর্তমানে ৪০ টাকা কেজির নিচে চাল মিলছে না। চালের পাশাপাশি প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এ ছাড়া ১৫ টাকা কেজিতে আলু মিললেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়ছে হু হু করে। সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, সরকারের বাজারমূল্য দেখার চেয়ে রাজনৈতিক এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যবস্ততার জন্যই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। যেন লাগাম টেনেই ধরা যাচ্ছে না। মোট কথা, তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেলেও সরকারের এ দিকে কোনো নজর আছে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিও সময় যে দাম বেড়েছিল তার প্রভাব এখনো হাট-বাজারে আছেই।
আরেক দফা দাম বেড়েছে চাল, ডাল, সবজি, ডিম, আদাসহ মাছ-গোশত ও ব্রয়লার মুরগির। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো প্রায় সব প্রকার সবজিতে কেজিতে দাম বেড়েছে ৮-১০ টাকা। সব ধরনের চালে চার-পাঁচ টাকা, আদায় ১৫-১৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে আট থেকে ১০ টাকা, চালে চার থেকে পাঁচ টাকা এবং আদা ১২ থেকে ১৪ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে।
এই গরমেও কাঁচাবাজারে শীত লাউ পাওয়া যাচ্ছে না ৪০-৫০ টাকার কমে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্তে¡¡ও বেড়েছে সব পণ্যমূল্য। পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কেজিতে সাত-আট টাকা। দাম কমেনি ডালজাতীয় পণ্যের। এক কেজি মসুর ডাল (ক্যাঙ্গারু) ১৫০ টাকা। দেশি ১৪২ টাকা। মাস খানেক আগেও এই ডালের দাম ছিল ১২৪ টাকা। ঝিঙা ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, করলার দাম বেড়ে আবার বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আলু ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
লেবুর হালি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি ৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩৪ টাকা হালি। ক্রেতা আ. ছালাম, রেজাউর রহমান মাস্টার, সরোয়ারর্দী দুদু মন্ডল, অটোরিকশা মালিক ও চালক আবুল কাশেম প্রমুখ জানান, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির খবরে এবং জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। আরেক দফা বেড়েছিল বাজেট ঘোষণার পরই। নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি জীবনেও দেখিনি। এভাবে আর বাঁচা যাবে না। গরুর দাম কম, গোশতের দাম বেশি! কি আজব দেশে বাস করছি আমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।