Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উলিপুরে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর মামলা : শিক্ষক বরখাস্ত

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাদরাসার জমি লিজ নেয়ার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে জিম্মি করে জোর পূর্বক অলিখিত ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে আব্দুর রশিদ নামের এক শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। এ ঘটনাকে আড়াল করতে ওই শিক্ষক অভিযোগকারী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি পূর্বক চেক ডিজ-অনার মামলা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফরা গ্রামে। এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতদরগাহ নেছারিয়া কামিল (এম, এ) মাদরাসার আরবি প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ ও পার্শ্ববর্তী হোকডাঙ্গা ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুর রশিদের মধ্যে ওই মাদরাসার জমি লিজ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

এমতাবস্থায় ঘটনার দিন ১৫ এপ্রিল রাতে থেতরাই বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে রশিদের বাড়ির সামনে পৌঁছলে তিনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অতর্কিতে পথ রোধ করে আবুল কালামকে মারধর করে টেনেহেঁছড়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে অলিখিত ননজুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।

এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ গত ১৫ মে উলিপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ১১ অক্টোবর শিক্ষক আব্দুর রশিদ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী অবগত হলে গত ৩০ অক্টোবর ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্তের অফিস আদেশ প্রদান করেন। এদিকে প্রভাষক আবুল কালাম আজাদের সোনালী ব্যাংক উলিপুর শাখার হিসাব নং ০০২০৯৪৮৫২ এর চেক বইয়ের হারিয়ে যাওয়া একটি পাতা (যার নং এস,বি ৪০৭৩৫১৮) গুনাইগাছ খেওয়ার পাড় এলাকায় জনৈক নূরুল ইসলাম কুড়িয়ে পায়। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ায় সে সময় উপস্থিত আব্দুর রশিদ, স্বাক্ষরিত চেকটির মালিককে চেনেন মর্মে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে নূরল ইসলামের নিকট থেকে তা গ্রহণ করেন। কিন্তু, চেকটি ফেরত না দিয়ে ওই চেকে ১১ লাখ টাকা লিখে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ডিজ-অনার করে আদালতে মামলা করেন। ইতোপূর্বে চেক হারিয়ে যাওয়ায় আবুল কালাম আজাদ উলিপুর থানায় জিডি ও চেক উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান চেক হারানো ও কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনাটির সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ জানান, জমি লিজ নেয়ার ঘটনায় তার সাথে আমার বিরোধ চলছে। যে কারণে আব্দুর রশিদ মাস্টার আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও আর্থীক ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অপর দিকে, শিক্ষক আব্দুর রশিদের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি হাজতবাস ও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি স্বীকার করে মামলার বিষয়ে এড়িয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ