Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বুধহাটা বাজার সড়ক অবৈধ দখলে : চরম দুর্ভোগ

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে জি এম মুজিবুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুধহাটা বাজারের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সড়কগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

বাজারটিতে প্রতিদিনি হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে থাকে। বাজার অভ্যন্তরের সড়কগুলো পথচারী চলাচল ও ছোট যানবাহন চড়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতয়াতের কথা। সাথে সাথে দোকানের মালামাল বহনের জন্য ব্যবাহারের কথা। কিন্তু সড়কগুলো অবৈধ দখল নিয়ে ব্যবসায়ীরা পথের মধ্যে দোকান বসানোয় পথচারী ও যানবাহন ঢোকানো সম্ভব হয় না। আবার অতিকষ্টে যানবাহন প্রবেশ ও পথচারী চলাচল করতে গেলে শুরু হয় ভয়াবহ জট। ফলে দীর্ঘক্ষণ যানবাহন আটকা পড়ে থাকে এবং পথচারীরা খুবই কষ্টকর পরিস্থিতির মোকাবেলা করে থাকেন।

বাজারের প্রায় সকল সড়ক বা গলিপথে অবৈধ দখলের নজির থাকলেও সবচেয়ে পীড়াদায়ক হয়ে দেখা দিয়েছে, বাস স্ট্যান্ড হতে স্কুল সড়ক হয়ে নীমতলা মোড় থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত, নীমতলা থেকে কাঁচাবাজার পর্যন্ত, কাঁচাবাজার থেকে গাজী মার্কেটের মোড় পর্যন্ত এবং খেয়াঘাট মোড় থেকে গরুহাট সড়কের আগ পর্যন্ত। এসব সড়কে ফলফলাদির দোকান, পোলট্রির দোকান, আখের দোকান, ভাজার দোকান, পোশাকের দোকানসহ বহু চটফড়িয়া ও ছোট ছোট খাটের উপর দোকান রয়েছে। এসব দোকানের কোনো কোনোটি একেবারে সড়কের মাঝখানে, কোনো কোনোটি সড়কের একপাশের অংশবিশেষ দখল নিয়ে এবং কোনো কোনোটি ফুটপথ দখল নিয়ে বসানো হয়েছে। অনেক স্থানে স্থায়ী দোকানের সামনের স্থান দখল করে নেয়া হয়েছে। দোকানে রৌদ্র-বর্ষার হাত থেকে রক্ষা পেতে পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে ছাউনি দেয়া ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে থাকে।

অবৈধ দখলদাররা টাকা দিয়ে জায়গার দখল পেয়েছি, আমাদের ব্যবসা বন্দ করবে কে? এমন ঔদ্ধত্ব্যপূর্ণ বক্তব্য ছুড়ে দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক জানান, অবৈধ দখলমুক্ত করতে অনেকভাবে চেষ্টা করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাজারটিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, কিন্তু দোকানের উপর দিয়ে পথ বন্ধ করে পলিথিন ছেয়ে রাখায় সিসি ক্যামেরায় ছবি ধারণ সম্ভব হয় না। ফলে চোর ধরা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ