Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে চরম জনদুর্ভোগ

বন্ধ গ্যাসচালিত ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

চরম লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে তীব্র লোডশেডিং ছিল। কোন কোন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। শহরের চেয়ে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। এতে করে জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। বিদ্যুতের অভাবে বিকল হয়ে যায় বিদ্যুৎচালিত কল-কারখানা। বিকল্প ব্যবস্থায় উৎপাদন চালাতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়েছে কারখানা মালিকেরা।
গ্যাস সঙ্কটসহ বিভিন্ন কারণে ৯৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমে আসে বলে জানান পিডিবির কর্মকর্তারা। আগে থেকে বন্ধ শিকলবাহার ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট। এলএনজি পাইপ লাইনে ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সঙ্কট শুরু হয়। আর তখন গ্যাসনির্ভর রাউজানের ৪২০ মেগাওয়াট, শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একই এলাকার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার শিকলবাহার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ডিজেল দিয়ে চালু করা হলেও গতকাল সকালে সেটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এ কেন্দ্রটি এলএনজি দিয়ে চলতো। এলএনজি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুইদিন আগে ডিজেল দিয়ে এটি চালু করা হয়। কিন্তু হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রটি চালু করার চেষ্টা চলছিল বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী। গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র লোডশেডিং হচ্ছে। তবে গতকাল পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। হাটহাজারী, দোহাজারী ও জুলদায় প্রতিটি একশ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিনের বেলায় বন্ধ রেখে পিকআওয়ারে চালু করা হয়। ফার্নেস অয়েলে চালিত তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খরচ কমাতে এ ব্যবস্থা। ফলে দিনের বেলায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে লোডশেডিং চরমে উঠে। যদিও পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল লোডশেডিং ছিল ৬০ মেগাওয়াটের মতো। তবে বাস্তবে লোডশেডিং কয়েকগুণ বেশি। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি সঞ্চালন ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে। পিডিবির হিসেবে, চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট। গ্যাসের অভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কমে গেছে। পিডিবির রেকর্ডে দেখা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে মঙ্গলবার বন্ধ ছিল পাঁচটি। ১৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫৮১ মেগাওয়াট হলেও মঙ্গলবার পিকআওয়ারে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮২২ মেগাওয়াট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লোডশেডিং

২৮ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ