Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডলারের অবস্থা স্থিতিশীল পড়তির দিকে পাউন্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সমমানের অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় গতকাল স্থিতিশীল ছিল ডলারের মান। যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর মুদ্রানীতির কারণে যেখানে ডলার স্থিতিশীল, সেখানে পাউন্ডের মান পড়তির দিকে।
সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে; যার প্রভাবে পাউন্ডের মান গত ২২ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৩১ ডলারে দাঁড়াতে দেখা গেছে। তবে বিনিয়োগকারীরা ব্রেক্সিট বিষয়ে আরো স্পষ্ট ব্যাখ্যা আশা করছেন।
গতকাল ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের সূচক ছিল ৯৬ দশমিক ৫০। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ডিসেম্বরে সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের প্রস্তুতির কারণে গ্রিনব্যাকের মান শক্তিশালী থাকবে। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ ফেডারেল রিজার্ভের আরো দুবার সুদহার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট হয়েছে এবং মজুরি প্রবৃদ্ধি ছিল গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের (এনএবি) সিনিয়র কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্ট রড্রিগো ক্যাট্রিল বলেন, কর্মসংস্থান পরিসংখ্যানেও ডলারের শক্তিশালী অবস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে। তবে ফেডের আগ্রাসী নীতিতে বাজারে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন বন্ডের ইল্ড গতকাল ৩ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
নিরাপদ মুদ্রা হিসেবে পরিচিত জাপানি ইয়েনের বিপরীতে বেড়েছে ডলারের মান। গতকাল ১ ডলারের বিপরীতে ১১৩ দশমিক ২২ ইয়েন লেনদেন হতে দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন মুদ্রা ব্যবসায়ীরা। জনমত জরিপে দেখা গেছে, দুই বছর পর হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে ডেমোক্র্যাটরা এবং সিনেটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি।
এদিকে ব্রেক্সিট নিয়ে সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে ঝুঁকি কিছুটা কমলেও যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে বলেছে, সামনে এখনো অনেক বড় সঙ্কট পার হতে হবে।
দিনের শুরুতে পাউন্ডের মান কমলেও দিন শেষে বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। তবে চলতি বছরে গ্রিনব্যাকের বিপরীতে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ মান হারিয়েছে পাউন্ড।
ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রা লেনদেন হয়েছে ৬ দশমিক ৯১২ ইউয়ানে। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময় হার শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে শূন্য দশমিক ৭২ ডলারে দাঁড়ায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ