পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ভিসিকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় পাবিপ্রবি’র কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন। গত সোমবার দিবাগত সন্ধ্যার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ছাত্রদের এবং বেলা ১১টায় ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রীরা হল ত্যাগ করতে শুরু করলেও ছাত্ররা তাদের অবস্থানে অনঢ় রয়েছেন। ছাত্ররা গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ক্যাম্পাসের প্রবেশের মূল ফটক ও প্রশাসনিক ভবন আটকিয়ে ছয় দফা দাবি আদায়ের জন্যে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় রিজেন্ট বোর্ডের জরুরী সভায় ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবী গুলো হলো ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষসহ পরবর্তী সকল ব্যাচ সমূহের অর্ডিন্যান্সের আওতাভুক্ত করা (ড্রপ আউট না করা) হলের ডাইনিং এ খাবার উন্নয়নের জন্য ভর্তুকি প্রদান, ক্লাস রুম ও চেয়ার সঙ্কট দূর করা, পরিবহন সঙ্কট সমাধান, ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছেন। দাবী মেনে নেবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ ৩-৪ মাস অতিবাহিত হলেও কোন প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের খেয়াল খুশিমতো ক্যাম্পাস পরিচালনা করে আসছেন। প্রশাসন চালানোর মতো দক্ষ নন বর্তমান ভিসি এই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা ভিসিসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবী করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গত সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভিসি তার অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে বাস ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করে। পরে ভিসি প্রফেসর ড. রোস্তম আলী দৌড়ে বাস ভবনে গিয়ে আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে রাখে। ভিসি অবশ্য এই কথার সত্যতা স্বীকার করেননি।
এ বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের। এটি প্রত্যাশিত নয়। আশা করি ভিসি স্যার দ্রæত এই অবস্থা নিরসনের জন্যে উদ্যোগ নেবেন।
এ বিষয় নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. রোস্তম আলী ফরাজীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , বিষয়টি পিআরও সেকশন জানেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাবনা সদর সার্কেল) ইবনে মিজান বলেন, ছাত্ররা তাদের দাবী নিয়ে আন্দোলন করছেন। ভিসি স্যারের সাথে তার কথা হয়েছে, তিনি বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্টার বিজন কুমার ব্রক্ষ জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড ৪৭তম জরুরী বৈঠকে বসে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৬ নভেম্বর থেকে পাবিপ্রবি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সভায় ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে আগামী ১৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, বর্তমানে পাবিপ্রবি’র পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।