Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তফসিল না পেছালে ইসি অভিমুখে পদযাত্রা -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৫৭ পিএম

বুধবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে দাবি না মানা হলে ৮ নভেম্বর রাজশাহীর উদ্দেশে রোডমার্চ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংলাপে দাবি না মানলে ৮ নভেম্বর রোডমার্চ করে রাজশাহীতে যাবো, ৯ নভেম্বর সেখানে সমাবেশ হবে।’

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি না মানার আগেই তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে।’ তবে কবে নাগাদ এই পদযাত্রা করা হবে তা উল্লেখ করেননি তিনি। সমাবেশ থেকে বলা হয়, পরবর্তীতে পদযাত্রার সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার, ৭ নভেম্বর) সংলাপ হবে। আমরা শান্তি চাই। অশান্তিতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু সংলাপ নিয়ে কোনও নাটক করলে হবে না। ’
সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই জনসভা করা হয়।

আজকের সমাবেশে মির্জা ফখরুলের পুরো ভাষনের ভিডিও দেখুনঃ

আরও দেখুনঃ 

১) ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড.কামালের বক্তব্যের পুরো ভিডিও

২) মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের ভিডিওসহ সংবাদ লিংক

 

 



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:২২ এএম says : 0
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং সাত দফা দাবি মানতে হবে। তিনি আরো বলেন, দাবী আদায়ের পূর্বে তফসিল ঘোষনা করা যাবেনা। তার করা এসব দাবী কি আইন সংগত বা দেশের সংবিধান সম্মত??? কাজেই এরাই পারে অন্যায় দাবী নিয়ে কম শিক্ষিত জনসাধারণদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলতে তাই না?? ফJরুল সাহেবের কথায় আমাদের সময় মানে ষাইটের দশকে যখন এখনকার সন্ত্রাসীদেরকে গুন্ডা বলা হতো। এই গুন্ডারা যখন একজন লোককে মানে তার প্রতিপক্ষকে মারতে চাইত তখন ঐ লোকটার সাথে চলার পথে নিজেই একটু ধাক্কা দিয়ে তাকে বলতো এই বেটা আমাকে ধাক্কা দিলি কেন… বলেই মাইর শুরু। অর্থাৎ গায়ে পরে বিনাকারনে মারা মারি ও রক্তাত পরিণতি। একই কায়দায় বিএনপি গায়ে পরে ঝগড়া লাগিয়ে সন্ত্রাস কায়েম করতে চাচ্ছে এটাই তাদের কাজে কর্মে বুঝা যাচ্ছে। যেমন ধরুন সরকার সংলাপের আবেদন পেয়েই শুরুতেই দাওয়াত পত্রে বলেছেন, সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী কোন আলোচনা হবেনা। তারপরও তারা তাদের সব দাবী সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী, এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী যখন ঐক্যের নেতাকে বলে কুবকাত করেছেন এরপর আইনের মধ্যে যেসব কথা হয়েছে সবই প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। এখন ওনারা বলছেন প্রধানমন্ত্রী মেনেছেন কিন্তু কার্যকর করবেন না!!! দ্বিতীয় সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট বলেছিল সংবিধান মতে একটা সুষ্ট প্রস্তব দিবে কিন্তু তাদের সব প্রস্তাবি সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী এটাও প্রধানমন্ত্রী নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যাক্ষান করলে তারা বলে এসেছে সংলাপ চলবে। সংলাপ চলবে, এটা বলার কারন তারা যখন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে কোন রকম গর্হিত কাজ করতে সক্ষম হলেন না তখনই সংলাপ চলবে বলে সংলাপ শেষ হয়নি চলবে এটাই বুঝাতে চাইছিল। এতে করে তারা ভেবেছে অন্যায় ভাবে তারা সংবিধানের বিপরীতে গিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিবে। কিন্তু আইন আনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষনা দিয়ে তিনি সাংবিধানিক দায়িত্ব পালান করেছেন। এখানে আমরা সাধারন জনগণ সংলাপের ফলাফল যেটা প্রধানমন্ত্রী জাতীকে জানিয়ে থাকেন সেখান থেকে বঞ্চিত হলাম। কারন সংলাপ চালু রেখে কিভাবে এর ফলাফল প্রধানমন্ত্রী দিবেন…… আল্লাহ্‌ আমাদের রাজনীতিবিদদেরকে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে জনগণের স্বার্থে (যেটা তার করা উচিৎ) কাজ করার ক্ষমতা দিন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ