পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৬ টার পর থেকে শুরু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে সমগ্র বিশ্ব। মার্কিন ইতিহাসে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই নির্বাচনকে অনেকেই ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার ওপর একটি রেফারেনডাম বা গণভোট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ট্রাম্প নিজেও সে কথা মনে করে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ২০১৬ সালের মত এই প্রচারণায়ও তার প্রধান অস্ত্র অভিবাসন বিরোধী ভীতির ব্যবহার। ডেমোক্রাট দলের শীর্ষ নেতা ন্যান্সি পেলোসিও জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন। তবে, জরিপে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রাটরা।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জরিপে দেখা যায়, প্রতিনিধি পরিষদে ৫০ ভাগ নিবন্ধিত ভোটার ডেমোক্রাট এবং ৪৩ ভাগ ভোটার রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থন করেন। আরেকটি জরিপে ডেমোক্রাটদের প্রতি ৫১ ভাগ এবং রিপাবলিকানদের প্রতি ৪৪ ভাগ সমর্থন আছে। যদিও ডেমোক্রাটদের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে কমেছে। অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান জনপ্রিয় হতে পারে। সিনেটে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের ১৯৩টিতে ডেমোক্রাট এবং ২৩৫টি রিপাবলিকানদের। আর সিনেটে ৪৯ ডেমোক্রাট এবং ৫১টি রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সিনেটে ৫১টি এবং প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮টি আসনে জয় পেতে হবে। নিম্নকক্ষে ডেমোক্রাটরা সাধারণত জিতেন এমন আসন ১৮৭টি। ডেমোক্রাট ভাবাপন্ন ১৫টি এবং ডেমোক্রাটরা জিততে পারেন এমন আসন ৫টি। জোর প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে ৩১টিতে। রিপাবলিকানরা জিতেন এমন আসন ১৫৩টি। রিপাবলিকান ভাবাপন্ন ২২ এবং রিপাবলিকানরা জিততে পারেন ২২টিতে। সিনেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ৬টিতে। ডেমোক্রাটদের ২৩টি এবং রিপাবলিকানদের ৪২টিতে নির্বাচন হচ্ছে না। ৩৫টির মধ্যে ১৪টিতে ডেমোক্রাটরা জিতে থাকেন, ৫টিতে জিততে পারেন এবং ডেমোক্রাট ভাবাপন্ন ৩টি। রিপাবলিকানরা ৫টিতে জয় পেয়ে থাকেন। রিপাবলিকান ভাবাপন্ন মাত্র দু’টি।
রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রাটস দু’পক্ষই কয়েক মাস আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে প্রচারে নামিয়েছে ডেমোক্রাটরা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন প্রচুর তারকা এবং বিখ্যাত ব্যক্তিরাও। তবে রিপাবলিকানদের প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্পই সর্বেসর্বা। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেও প্রচারে গিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় প্রতি চার বছর পরপর। তবে কংগ্রেসের দুই কক্ষে (উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) ভোট হয় প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়ে। প্রতিটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের (৪৩৫টি) সবগুলো আসনে ভোট হয়। কারণ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বা কংগ্রেসম্যানদের মেয়াদ দুই বছর। সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে এবার ৩৫টিতে ভোট হবে। সিনেটরদের মেয়াদ ৬ বছর। ৩৬ টি রাজ্যের গভর্ণর পদে নির্বাচন হবে। নতুন কংগ্রেসের অধিবেশন বসবে আগামী জানুয়ারিতে।
নির্বাচনে ডেমোক্রাটরা যদি কমপক্ষে একটি হাউসেরও দখল নিতে পারেন, তাহলেই রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়ে এই মুহূর্তে আশাবাদী তারা। কারণ ইতিমধ্যেই সেখানকার ১৯৫টি আসন তাঁদের দখলে। সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপালিকানদের দখলে রয়েছে ২৪০টি আসন। তাই আর ২৩টি আসনে জয়ী হতে পারলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে ডেমোক্রাটরা। তবে তা খুব একটা সহজ হবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাদের দাবি, সেনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৫০টিই রিপাবলিকানদের হাতে চলে গিয়েছে। এ বারে মাত্র ৩৫টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে, যার মধ্যে ৯টি এতদিন রিপাবলিকান প্রার্থীদের দখলেই ছিল। ২৪টি ছিল ডেমোক্রাটদের। আর দু’টিতে নির্দলীয় প্রার্থী ছিলেন। নির্দলীয় প্রার্থীরা ডেমোক্রাটদের সঙ্গে গেলেও, সেখানে রিপাবলিকানদের জয় একরকম নিশ্চিতই।
কিন্তু যদি একটি হাউস রিপাবলিকানদের দখলে যায়? আর অপরটি ডেমোক্রাটদের? তাহলে যে কোনও বিল পাশ করাতেই বেগ পেতে হবে ট্রাম্প সরকারকে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে আরও বলীয়ান হবেন ডেমোক্রাটরা। নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ-সহ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত শুরু করাবেন তারা। তাকে অপসারণের দাবিও তোলা হতে পারে। আর সেনেট যদি ডেমোক্রাটদের দখলে যায়, তাহলে বিচার বিভাগ-সহ অন্য জায়গায় নিজের পছন্দের প্রার্থী বসাতে হিমশিম খেতে হবে ট্রাম্পকে। সূত্র: সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।