বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দেশ একটা সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। গণতন্ত্রের এই সঙ্কট থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি যে কথাটি গত সাড়ে ৯ বছর বলেছে সেটি হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। জাতীয় সংলাপের কথা। গণতন্ত্রের সঙ্কট থেকে দেশকে বেরিয়ে আনার কথা। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহŸান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। আমরা আশান্বিত জাতির সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। সেই জন্যে অর্থবহ সংলাপের কথা বিএনপি বলেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছে। আমরা এখনো আশান্বিত সংলাপকে মেনেই সংলাপের মধ্যদিয়ে সমাধান বেরিয়ে আসবে। আর তা যদি সমাধান না আসে তাহলে সঙ্কট আরো ঘনিভূত হবে। গতকাল রোববার বেলা ১২ টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিকে প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বলছেন আপনাদের বিরুদ্ধে যে মামলা তার একটি তালিকা দেন, আমরা গতকাল একটি তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছি। একদিকে তালিকা চেয়ে পাঠানো আরেকদিকে প্রতিহিংসার রাজনীতির এই ভয়ালরূপ কেন? দেশ কে চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী না অন্য কেউ এই প্রশ্ন আমাদের। যে দিন সংলাপ চলছিলো সেই সংলাপের রাতেই খুলনায় দুইটি গায়েবি মামলা। তাহলে কি সরকার আমাদের সাথে অভিনয় করছেন ?
তিনি আরো বলেন, গত মাসে সংবাদ সম্মেলন বলেছিলাম, গায়েবি মামলা ১৫টি, গ্রেফতার ৫০ জনের মতো, হাজার হাজার কমীদের বাড়িতে অভিযান। সেই সময়ে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার এমনকি নির্বাচন কমিশনকেও স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম, বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে, প্রি-ইলেকশন ওয়ার্ক করার জন্য বিএনপি অফিসগুলো খুলে দেয়া, পুলিশী ও গোয়েন্দা নজরদারি প্রত্যাহার করা এবং অর্থবহ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের সহায়তার দাবি জানিয়েছিলাম। এরপর কয়েকটা দিন বন্ধ ছিলো। কিন্তু আবারও শুরু হয়েছে ভয়াল রূপ, অমানবিক আচরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং একটি নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র গত ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। এই প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বাচতে চায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এ পর্যন্ত ৮৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগের ৪২ জন গ্রেফতার ছিলো তাদের সবাইকে এখনো পর্যন্ত মুক্ত করতে পারেনি। স্থানীয় আদালত থেকে জামিন পাওয়া যায় না, যে কারণে হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়।
এ জন্য এক মাস, দেড় মাস দুই মাস একজন কর্মীদের বিনা অপরাধে সাজানো-পাতানো গায়েবি মামলায় নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শাহজালাল বাবলু, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।