পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আরো নিচে নেমেছে। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমে সেপ্টেম্বরে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নেমেছে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর এত কম প্রবৃদ্ধি আর দেখা যায়নি। আগের মাস আগস্টে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বেসরকারি খাতের ঋণ হুহু করে বাড়ছিল। তবে চলতি বছরের শুরুতেই ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনার পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল আট লাখ এক হাজার ২১৫ কোটি টাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের বছর এমনিতেই ব্যাংকগুলো সতর্কতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করে। এর মধ্যে আবার গত ৩০ জানুয়ারি এডিআর কমানোর নির্দেশনার মাধ্যমে ঋণ বিতরণের সুযোগ সীমিত হয়ে আসে। ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে প্রচলিত ধারার একটি ব্যাংকের ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর ৮৯ টাকা ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে যা ৮৫ এবং ৯০ টাকা ছিল। এরপর ব্যাংকগুলো ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদে আমানত নিতে শুরু করে। আর ঋণ বিতরণ করে আরো বেশি সুদে। হঠাৎঋণের সুদ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলের দাবির মুখে গত জুনে ব্যাংকগুলো বসে ৬ শতাংশ সুদে আমানত এবং ৯ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণের ঘোষণা দেয়। যদিও অধিকাংশ ব্যাংক সব ক্ষেত্রে এখনো এ সুদহার কার্যকর করেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল থাকার পর গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে আমদানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়তির দিকে ছিল। গত বছরের নভেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি উঠেছিল ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশে। হঠাৎ এমন ঋণ প্রবৃদ্ধি নিয়ে নানা প্রশ্নও করছিলেন ব্যাংক খাত বিশ্লেষকরা। এক খাতের নামে ঋণ নিয়ে অন্য খাতে ব্যবহার, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে লাগাম টানে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাক্সিক্ষত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাজারে কী পরিমাণ ঋণ যাবে তার একটি আগাম ধারণা দিতে অর্থবছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতিতে একই রকম প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হলেও গত জুনে প্রবৃদ্ধি হয় ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ দশমিক ১৩ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।