Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলোচনা ফলপ্রসূ হলে আন্দোলন হবে না -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ পিএম

সংলাপ ফলপ্রসূ হলে বিরোধীদলগুলো আন্দোলনের পথে হাঁটবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একদিকে আলোচনা অন্যদিকে আন্দোলন, এটি আমার বোধগম্য নয়’। প্রধানমন্ত্রী, এখনও তো সেই অর্থে জোরালো আন্দোলন শুরু হয়নি, আপনি সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসন করতে পারলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তো আন্দোলনের পথে যাবে না। সংকট নিরসনের চাবিকাঠি আপনার হাতে। আলোচনার আহবান তো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অব্যাহত আছে। তবে আপনাকে ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ শুনতে হবে। ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ হচ্ছে বর্তমানে জনগণের দাবি-যা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবির মাধ্যমে উত্থাপন করেছে। আপনি সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন তাহলে তো কোন সংকট থাকার কথা নয়। রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলে।
রিজভী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ চলছে, সেই সংলাপে এখনও পর্যন্ত সংকট সুরাহা না হওয়ার আগেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড় করছে নির্বাচন কমিশন-যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমনকি নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মতামতকেও অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। গণমাধ্যমেও এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তফসিল পেছানোর আবেদন করা হলেও ইসির সচিব তা অস্বীকার করে বলেছেন তারা কোন চিঠি পাননি। এ সপ্তাহের মধ্যেই তফসিল ঘোষনা করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-নিজ আইনসঙ্গত ক্ষমতাবলে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষনা থেকে বিরত থাকুন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সারাদেশে নির্বাচনি কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বাছাই করছে পুলিশ। বিভিন্ন থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ তালিকা ধরে ধরে কারা সরকার দলীয় সমর্থক তাদের নাম বাছাই করছে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে যাচাই করছে, ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে আপনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য। যদি কোন শিক্ষক বিএনপি সমর্থক হয়ে থাকে তাকে বলা হচ্ছে আপনার নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের দরকার নেই। জনগণ এমন কর্মকান্ডকে ভোট কারচুপির পূর্ব প্রস্ততি বলেই মনে করছে। সরকারের হুকুমেই এমন নজিরবিহীন কর্মকান্ড চলছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার পর এখন দেশজুড়ে গণগ্রেফতারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। সর্বব্যাপী নিপীড়ণের ধারায় বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় বিএনপির সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গণগ্রেফতারের সঙ্গে চলছে রমরমা অর্থ-আদায় বাণিজ্য। পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আটক করে অথবা মিথ্যা মামলায় নাম জড়িয়ে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের ঘৃন্য পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ গায়েবী মামলার তালিকা ধরে ধরে এলাকায় এলাকায় গিয়ে বিএনপিবিএনপির সমর্থকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। অনেককে গ্রেফতার করে পরিবারের সদস্যদের বলা হচ্ছে-মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসেন, আটককৃতদের মামলায় নরমাল ধারা দিয়ে চালান করে দিব যাতে সহজে জামিন পেয়ে যায়। এছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশীর নামে চলছে পুলিশী তান্ডব। বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের কাছে এ ধরণের খবর আসছে প্রতিনিয়ত, প্রতি মূহুর্তে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ