Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চালু হচ্ছে কন্ট্রিবিউটারি পেনশন ফান্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

‘কন্ট্রিবিউটারি পেনশন ফান্ড’ নামে একটি ফান্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন বছর থেকে বেসরকারি চাকরিজীবীরা এই পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। এই ফান্ডে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীরা তাদের বেতনের একটি অংশ জমা রাখবেন। একই ফান্ডে চাকরিজীবীদের নিয়োগ কর্তৃপক্ষেরও অংশগ্রহন থাকবে। এ জন্য গঠন করা হবে একটি সার্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে এই পেনশন ব্যবস্থার একটি রুপরেখা প্রণয়নের খসড়া প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। খাঁজ নিয়ে জানা গেছে, একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এই ফান্ডের একটি রুপরেখা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই রুপরেখা প্রণয়ন হলে তা অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এরপরই এই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগে নেয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর থেকে সীমিত পর্যায়ে হলেও বেসরকারিখাতের পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। এতে বেসরকারিখাতে কমর্রত একজন চাকরিজীবী তার বেতনের একটি অংশ পেনশন কন্টিবিউটারি ফান্ডে প্রদান করবেন। ফান্ডে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীদের নিয়োগকারি প্রতিষ্ঠানও অবদান রাখবেন।

এই ফান্ডটির পুরোটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে সরকারের হাতে। এখানে সরকারি চাকরিজীবীদের ভবিষ্যত পেনশন অর্থও জমা থাকবে। সরকারি-বেসকারি কর্মকতা-কর্মচারিদের জন্য এটি একটি ‘সার্বজনীন ফান্ড’ হবে। সংশ্লিষ্ট চাকুরীজীবীরা এই ফান্ডে একটি ‘কোড’ নাম্বারের বিপরীতে অর্থ জমা রাখবেন। তারা চাকরি পরিবর্তন করলেও কোড নাম্বারের কোনো পরিবর্তন হবে না। অবসর নেয়ার পর রুপরেখা অনুযায়ী এই কোডের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পেনশন পাবেন। এই ফান্ডের টাকা সরকার বিভিন্ন লাভজনকখাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা করবে এবং এই মুনাফার অর্থ ফান্ডে অংশ নেয়া চাকরিজীবীরাও পাবেন। তবে কাউকে বাধ্য করা হবে না এই ফান্ডে অংশগ্রহণের জন্য। এর আগে বেসরকারি খাতে পেনশন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রথম কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এর মাস দু-এক পরে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যেও এ বিষয়ে তার কথা থাকে। অর্থমন্ত্রীর মতে, নগরায়ণের কারণে একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ভবিষ্যতে তাদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকারের একার পক্ষে এ ঝুঁকি মোকাবিলা করা দুরূহ। তাই দেশের সব শ্রমজীবী মানুষসহ প্রবীণদের জন্য একটি সর্বজনীন ও টেকসই পেনশন পদ্ধতি চালু এখন সময়ের দাবি। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, এখন থেকে আর কাউকে তার পেনশনের হিসাব করা, পেনশন নেয়া-এগুলো চিন্তা-ভাবনা করতে হবে না। তিনি বলেন, দেশের পেনশন ব্যবস্থার সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। আজ যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যুগান্তকারী। এখন থেকে পেনশন ওঠাতে ছোটাছুটি করতে হবে না। মুহিত বলেন, আমরা পেনশন সিস্টেমের যেটা করলাম, এটা নিয়ে দেশের প্রত্যেক নাগরিক বেনিফিটেড হবে। কারণ জাতীয় পেনশন পদ্ধতিতে সকলকে ইনকর্পোরেট করা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি তো আগেও বলেছি আমরা চিন্তা করছি, পেনশন সিস্টেম ফর দ্য হোল ন্যাশন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ