পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের সংযোগ সড়কের কারণে চকরিয়া উপজেলার মগনামা এলাকায় বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস ও বেসরকারি স্থাপনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমান জরিপের আলোকে ৩০০ ফুটের সড়ক নির্মিত হলে ক্ষতির সম্মূখীন পানি উন্নয়নবোর্ড ও সরকারি খাদ্য গোদামের অন্তত ৫০ কোটি টাকার মূল্যবান স্থাপনা।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবসতি ও ফসলি জমি। এছাড়া জরিপের অন্তর্ভুক্ত জমির মালিকরা বর্তমান জমির বাজার মূল্যের চেয়ে এক তৃতীয়াংশেরও কম টাকায় তাদের সহায় সম্পত্তি ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। এদিকে বদরখালীবাসীকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে প্রস্তাবিত এলাইনমেন্ট পরিবর্তন করে বরদখালী মৌজার দক্ষিণ পার্শ্বে পুণঃনির্ধারণের আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, দেশের বৃহত্তম কৃষি সমিতি ‘বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি’র সাবেক সভাপতি রশিদ আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোছাইন, সমিতির সদস্য ইবনে আদম জাহান, আকতার কামাল, নজির আহমদ, দিদারুল ইসলাম মুজিব ও আবদুল মান্নান। স্মারকলিপি প্রদানকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা এলাকার উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ হলে কি পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে তা জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি করে দেন জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য ১৯২৯ সালে ভূমিহীনের সন্তানরা গড়ে তুলেছিলেন দেশের বৃহত্তম কৃষি সমিতি ‘বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি’। চার হাজার একরের মতো জমি নিয়ে দুই-তিন হাজার ভূমিহীনের পরিবারের সে যাত্রার ফল হচ্ছে, কালের পরিক্রমায় ৪৫-৪৬ হাজার মানুষের ঘন বসতিপূর্ণ জনপদ এখন বদরখালী। এখন ২৬২ জন অংশীদার প্রতি ১২একর জমি নিয়ে সচ্ছলতার সাথে পরিবার-পরিজনসহ সভ্যতার সোপান তৈরি ও নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জনপদের চেয়ে তারা অনেক এগিয়ে গেছেন। ৮৯ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে ৪৫ হাজার মানুষের ভারে জর্জরিত বদরখালী জনপদ। প্রতি শেয়ার ১২ একর জমি নিয়ে শুরু করা পরিবারগুলোর সদস্যদের মাথাপিছু এখন ৮/৯ শতকের বেশি জমি নেই।
জীবনযুদ্ধের লড়াকু সৈনিক হিসেবে নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য ভূমিহীনের সন্তানরা এলাকায় স্থাপন করেছেন ডিগ্রি কলেজ, ফাজিল মাদরাসা, দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪০টি জামে মসজিদ ও মক্তব, দুটি কওমি মাদরাসা ও চারটি কেজি স্কুল, ১টি সরকারি হাসপাতাল, ১০টি কবরস্থান, ১০টি সাইক্লোন শেল্টারসহ মুজিবকেল্লা। বাংলাদেশ সচিবালয়ের আদলে অতি স¤প্রতি তৈরি করা, সমিতির দৃষ্টিনন্দন কার্যালয়কে ঘিরে ভূমিহীনের সন্তানেরা গড়ে তুলেছেন একটি উপশহর।
কিন্তু একাধিক বিকল্প থাকা সত্তে¡ও অসংখ্য সমবায়ীর ত্যাগে গড়া উপ-শহরটি যেন স¤প্রতি মহেশখালী গভীর সমুদ্রবন্দর সংযোগ সড়কের নিশানার শিকার। উদ্বিগ্ন সমবায়ী এবং সমিতির কর্মকর্তারা বদরখালীর দক্ষিণ কিংবা উত্তরে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের জমির ওপর দিয়ে প্রস্তাবিত সংযোগ সড়কটি নির্মাণের অনুরোধ করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট ‘জাইকার’ লোকজন তা মানতে রাজি নন। যেন পানির দরে নিয়ে নিতে চাচ্ছেন বদরখালী সমিতির সমবায়ীদের মূল্যবান জমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।