Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ১:০০ পিএম | আপডেট : ১:০৪ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮

বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোন সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রাজনীতি থেকে, আগামী নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। এমনকি জামিন পেলেও তাকে জামিন দেয়া হয়নি। একটার পর একটা মামলা দিয়ে তাকে আটক করে রাখা হচ্ছে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়, সরকার একদিকে সংলাপের প্রস্তাব পাঠিয়েছে আর অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি করা দুইটা সাংঘর্ষিক। এটা গণতান্ত্রিক কোন আচরণের প্রতিফলন ঘটায় না। সংলাপের যে আন্তরিকতা সেই আন্তরিকতা প্রমাণ করে না।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে বিচার ব্যবস্সা সরকারের সম্পূর্ণ করায়ত্ত্ব হয়ে গেছে। সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা তার বইয়ে লিখেছেন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সরকারের নিয়ন্ত্রণে।এখানে বিচার বিভাগের কোন স্বাধীনতা নেই। সেজন্যই তাকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে ফিরে পাবার জন্য, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য, জনগণের অধিকার ফিরে পাবার জন্য আমরা দীর্ঘকাল ধরে আন্দোলন করছি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তার জীবনের সায়াহ্নে এসে কারাবরণ করেছেন শুধুমাত্র একটি কারণে গণতন্ত্র ও মানেষের অধিকার ফিরিয়ে আনবার জন্য।
সরকারকে গণতন্ত্রের পথে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন। নির্বাচন দিচ্ছেন, যেই নির্বাচনে আপনারা হেলিকপ্টারে করে জনগণের কাছে যাচ্ছেন, ভোট চাচ্ছেন আর আমাদের নেত্রী কারাগারে আমরা পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমাদের কর্মীরা কোথাও দাঁড়াতে পারেনা। এই অবস্থায় কখনোই সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হতে পারে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ দফা দাবি পুরোটাই মেনে নিতে হবে। সবার আগে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন ও ইভিএম বাতিল করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে কোন নির্বাচনই অর্থবহ হবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মেজর (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন,  মহানগর উত্তরের বজলুল বাসিত আঞ্জু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস ছাত্রদলের আসাদুজ্জামান আসাদ যুবদলের মোরশেদুল করিম বাদরু প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ