পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজস্ব ফাকিরোধে বদলে গেছে বেনাপোল বন্দর, বদলে গেছে শুল্কায়ন ও আমদানি রফতানি বানিজ্যিক প্রক্রিয়া। বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে সম্পূর্ন ডিজিটালাইজেশন’র আওতায় আনা হয়েছে। এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড এর মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে শুল্ক কর নির্ণয় করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে উন্নত প্রক্রিয়া, আমদানি রফতানি বানিজ্য আরো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। রাজস্ব ফাকি রোধে ভারত-বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিদিনের আমদানি রফতানি তথ্য সরবরাহ করছে নিজেদের মধ্যে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বেনাপোলে দায়িত্ব গ্রহনের পরপরই শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। দ্রুত পণ্য খালাস, রাজস্ব ফাকি বন্ধে শক্তিশালী আই আর এম টিম গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজস্ব ফাকিবাজরা বেনাপোল বন্দর ত্যাগ করে চলে গেছে ভোমরা বন্দরে। সেখানে দেয়া হচ্ছে ঘোষনাতিরিক্ত পণ্য আমদানির অনুমতি। কাস্টমস আইনে মোট আমদানি পণ্যের দশ ভাগ কায়িক পরীক্ষা করার বিধান থাকলেও এতদিন তা মানা হয়নি। ফলে ক্ষতিপ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে মোট আমদানি পণ্যের শতকরা ১৫% কায়িক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাও আবার শুধু স্বনামধণ্য আমদানিকারকরাই এ সুযোগ পাচ্ছে। বানিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য এ সুবিধা নেই। বানিজ্যিক আমদানিকারকদের পণ্য শতভাত পরীক্ষা করা হয় ৪/৫ টি গ্রুপ দিয়ে। ফলে এ পথে বানিজ্যিক আমদানি অনেকটা কমে গেছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও কমে গেছে। ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে বসানো হয়েছে মোবাইল স্ক্যানার। পাশাপাশি বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ঢেলে সাজানো হয়েছে। পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর আদলে বসানো হয়েছে আধুনিক স্ক্যানারমেশিন। আউট গোয়িং ইনকামিং এর জন্য পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে যাত্রীদের। দালালমুক্ত করা হয়েছে কাস্টমস চেকপয়েন্টে। বসানো হয়েছে আধুনিক সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অফিসারদের কাজ পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর চালু করা হয়েছে বাইপাস সড়ক। যা এতদিন ছিল পরিত্যক্ত। ফলে বেনাপোলে যানজট কমে এসেছে অনেকটা। অনেকদিন ধরে বেনাপোলবাসি বাইপাস সড়ক চালুর জোর দাবি করে আসছিল। ইদানিং বড়বড় মালটিন্যাশনাল কোম্পানীগুলো বেনাপোল বন্দরে পুনরায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। কারন কোলকাতা হয়ে বেনাপোল বন্দর থেকে খুব অল্প সময়ে শিল্পের কাঁচামাল খালাস করা সম্ভব। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে মালামাল খালাস হয়ে থাকে বলে জানান বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা। বর্তমান কমিশনার যোগদানের পরপরই বেনাপোল বন্দর একটি আধুনিক বন্দরে রূপ নিতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক প্রদ্যুত কুমার জানান, বন্দরে ইতিমধ্যে ২৫ একর জমি অধিগ্রহন করায় দীর্ঘদিনের বন্দর জায়গা সংকট আর থাকছে না। ফলে বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী বেনাপোল বন্দর দিয়ে তাদের আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
যদি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাড়ানো হয় তাহলে এ কাস্টমস হাউস থেকে সরকারের বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা সম্ভব।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, রাজস্ব ফাকিরোধে সঠিক পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে রাজস্ব আদায় ও ব্যবসায়ীদের কম সময়ে হয়রানি ছাড়াই পণ্য খালাসের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।