Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংলাপের উদ্যোগ আশাব্যঞ্জক -বার্নিকাট

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ৭:০৬ পিএম

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ উদ্যোগকে আশাব্যাঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমনটি আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারও আছে। যুক্তরাষ্ট্র সেই অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রশ্নের উত্তরে মার্শা বার্নিকাট বলেন, রাজনৈতিক সংলাপ শুধু একটি দল বা কোনো নেতার ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। এটা সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে। আর বিদেশি সহায়তা ছাড়া রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সংলাপ নিজেদের মধ্যে হওয়াটা ভালো।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বার্নিকাট। তিনি বলেন, এমন একটি নির্বাচন দেখতে চাই যাতে মানুষের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটবে। এই প্রক্রিয়াতে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং নির্বাচনী ইশতেহার প্রদর্শনের সমান সুযোগ দিতে হবে। জনগণই ঠিক করবে তাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কে দেবে।
ঢাকা থেকে বিদায় নিচ্ছেন মার্শা বার্নিকাট। বিদায় নেয়ার আগে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বার্নিকাট। এসময় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এর আগে মার্শা বার্নিকাট পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী বৈঠক করেন। ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন বার্নিকাট। তিনি ড্যান মজিনার পদে স্থলাভিষিক্ত হন। বার্নিকাট বিদায় নেওয়ার পরে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেবেন রবার্ট আর্ল মিলার। আগামী ৮ নভেম্বর তার আসার কথা রয়েছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:৪৪ পিএম says : 0
    যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁর দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এটাই প্রথা বিদায়ী রাষ্ট্রদূতেরা যাবার প্রাক্কালে দেশের প্রধানদের ভাল ভাল কথা বলে বিদায় নেন। কিন্তু দেখার বিষয় হচ্ছে ঠিক নির্বাচনের প্রাক্কালে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি বুঝাতে চাচ্ছেন??? সরকারি বুদ্ধিজীবিদেরকে এই ঘটনার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে তাহলে কোন অঘটন ঘটার আগেই সাবধান হলে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকবেনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ উদ্যোগকে আশাব্যাঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমনটি আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। রাজনৈতিক সংলাপ শুধু একটি দল বা কোনো নেতার ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয় বলেও বার্নিকাট মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিদেশি সহায়তা ছাড়া রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সংলাপ নিজেদের মধ্যে হওয়াটা ভালো। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এখানে যেভাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিলেন সেটা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পক্ষে গেছে বলে সবার ধারনা। প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটাই ড্রেস বাঙ্গালী মহিলাদের পোষাক শাড়ী তাই রাষ্ট্রদূত মহিলা হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তথা বাঙ্গালী মহিলাদেরকে খুশি করার জন্যে সাড়ী পরিধান করে সাক্ষাৎ করতে আসেন এতে বুঝাযায় বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রীকে কতটা শ্রদ্ধা করেন। আমরা বাঙ্গালীরা বার্নিকাটের এই সৌজন্যমূলক আচরণে খুবই খুশি হয়েছি। তাই আল্লাহ্‌র কাছে আমাদের মোনাজাত আল্লাহ্‌ যেন বার্নিকাটকে শুখ ও শান্তি দান করেন। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদেরকে কূটনৈতিক জ্ঞান দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বার্নিকাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ