পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুব বেশী পুরনো দিনের কথা নয়। এক সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড় জঙ্গলে মনের সুখে ঘুরে বেড়াতো ওরা। চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, বনমোরগ, মথুরা মোরগ, ময়ূর, বনগরু, গয়াল আরও কত কি বিচিত্র প্রাণী। সকাল দুপুর বিকেলে পাহাড়ি ঝরণার ধারে গিয়ে পানি পান করতে অথবা মাথা উঁচু করে গাছ থেকে পেড়ে পছন্দের ফল আমলকি হরিতকি বহেরা খেতে দেখা যেতো চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণকে।
কিন্তু চোরা শিকারীদের তান্ডবে ওরা হারিয়ে গেছে। বন-জঙ্গল ধ্বংসের পরিণতিতে ওরা হারিয়েছে নিরাপদ আবাসস্থল। বনভূমি থেকে বিরান প্রায়। এখনও বেশকিছু সংখ্যক চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ টিকে আছে সুন্দরবন ও হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে। মনের সুখে ওরা দলে দলে ঘুরে বেড়ায়। তবে আবহাওয়া-জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনে সুন্দরবন, হাতিয়ার মতো সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে মায়াবী চঞ্চলা হরিণ-হরিণীরা অদূর ভবিষ্যতে টিকে থাকতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে পরিবেশবাদী ও প্রাণিবিজ্ঞানিদের মাঝে সংশয় রয়েছে।
এতসব হতাশার মধ্যেও সুখবর হলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চিত্রল হরিণ বা চিত্রা হরিণের সংসার আলো করে এলো নতুন আরেক অতিথি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গত রোববার বিকেলে একটি চিত্রা হরিণের শাবক জন্ম নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নয়া অতিথি সমেত চিত্রা হরিণের সংসারে সদস্য সংখ্যা এখন ১১। চিত্রা হরিণের শাবকটি সুস্থ আছে। চিত্রা শাবকটির ওজন এক কেজির কিছু বেশি। গত দু’দিনে চট্টগ্রামে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যত্মআত্তি করছে চিত্রা হরিণ শাবকটিকে এই বৈরী আবহাওয়ার ধকল থেকে সুরক্ষায়।
চঞ্চল হরিণ আর চপলা হরিণী এবং হরিণ শাবককে নিয়ে শিশুতোষ ছড়া, গান, কবিতা, উপমার শেষ নেই সাহিত্য জগতে। মায়াময় চিত্রা হরিণ সবাইকে কাছে টানে। এবার সদ্যজাত হরিণ শাবকটি বিশেষত চিড়িয়াখানার শিশু দর্শকদের আকৃষ্ট করবে এমনটি আশা কর্মকর্তাদের। এর আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুর্লভ প্রজাতির সাদা বাঘ শাবকের জন্ম হয়েছিল। রয়েল বেঙ্গল টাইগারও শাবক জন্ম দেয়।
বন্দরনগরীর পাহাড়তলী ফয়’স লেক সংলগ্ন নয়নাভিরাম পাহাড় টিলার পাদদেশে ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। সমাজসেবী ব্যক্তিদের উপহার ও সৌজন্যে পাওয়া বন্যপ্রাণি, পাখী দিয়েই এ চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু। এখানে বর্তমানে ৫০ টিরও বেশী প্রজাতির তিন শতাধিক বিচিত্র প্রাণী ও পাখ-পাখালী রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাদা বাঘ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, জেব্রা, ভালুক, কুমির, হরিণ, উল্টোলেজী বানর, উল্লুক, হনুমান, ময়ূর, কচ্ছপ, অজগর, বানর প্রভৃতি। দেশী ও বিদেশী হাজারো পর্যটক, দর্শনার্থী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চিত্র-বিচিত্র প্রাণিগুলো দেখার জন্য প্রতিদিন ছুটে আসেন। চিড়িয়াখানার আকর্ষণ আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।