Inqilab Logo

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খাল দখলমুক্ত করতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় ডিএনসিসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রাজধানীর বিভিন্ন খাল ও ঢাকার চারপাশের নদী বেদখলে চলে যাচ্ছে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ জামাল মোস্তফা এগুলো দখলমুক্ত করতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির কনফারেন্স রুমে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রস্তাব দেন। এ সময় ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক বিন ইউসুফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জামাল মোস্তফা বলেন, কাগজে কলমে রাজধানীর ভেতর ৪৩টি খাল আছে। আমাদের ঢাকাও নদী বেষ্টিত। এতো সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও আমরা বারবার এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে দোষারোপ করছি। আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমি মনে করি এভাবে চিঠি চালাচালি না করে ঢাকা সিটির সবগুলো খাল এবং নদীগুলো দখলমুক্ত করে নাব্য ফিরিয়ে দিতে হাতিরঝিলের আদলে একটি মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হোক। আর সেই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকেই দিয়েই করা হোক। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, আমার বিশ্বাস- সেনাবাহিনীর মাধ্যমে প্রজেক্ট বাস্তস্তবায়ন করতে পারলে সেটি দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং কাজের গুণগত মান ঠিক থাকবে।
সিটি কর্পোরেশন সমন্বয়ের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, আমি ব্যর্থ বলছি না। কিন্তু সমন্বয় করাটা কঠিন কাজ। এখানে অনেকগুলো কাজ আছে যেগুলো চাইলেই আমরা করতে পারি না। দখলমুক্ত করতে গেলে আমাদের অনেক বাঁধা আসে, তাই সেনাবাহিনী দিয়ে করাতে পারলে কাজটা দ্রুত হবে। প্রজেক্টটা সুপারভিশনের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতেই থাকতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে বসছি। ইতোমধ্যে আমরা অগ্নি-নির্বাপণের জন্য অত্যাধুনিক ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছি। নগরবাসীকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্যই আমাদের এসব কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘লোকাল ডিজেস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মরহুম মেয়র আনিসুল হকের সময়ে নেওয়া হয়। এরপর একটি সেমিনারের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন হয় দিল্লিতে। গত ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর কোথায় খেলার মাঠ হবে, কোথায় খোলা জায়গা থাকবে, কোন ভবন আবাসিক ও কোনটি বাণিজ্যিক এবং কোথায় কী সেবা নিশ্চিত করা হবে সবকিছুই ঠিক হবে। ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, এ জন্য সবগুলো সেবা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ