Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জে সরকারী জমিতে বালু ভরাট করে দখলের অভিযোগ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প কয়েক শত সরকারী জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করে দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ইউনিয়নের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠায় এখানকার জমির মূল্যেও অধিক হারে বেড়ে গেছে। এজন্য আবাসন প্রকল্প গুলোর চোখ পড়েছে এসব সরকারী জমিতে। ইতিমধ্যে প্রায় ২শ’ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, রূপগঞ্জ ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প সরকারী জমি জবরদখল করে রেখেছে। এসব সরকারী জমিতে আগে কৃষকরা ফসল ফলাতেন। আর এসব দখলে সহযোগীতা করছেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদ। আবাসন প্রকল্পের মধ্যে আনন্দ পল্লী, ঢাকা ভিলেজ, আশালয়, সী-শেল আবাসন প্রকল্প সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করেছে। কিছু দিন পূর্বে এসব আবাসন প্রকল্পের দখলে থাকা সরকারী প্রায় ২শ’ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এজন্য স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ভূমি অফিসের একটি সূত্র জানায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদকে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের তালিকা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিলেও গত ৬ মাসেও তারা পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
অভিযোগ উঠেছে, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদের সঙ্গে আবাসন প্রকল্পের মালিকপক্ষের সখ্যতা রয়েছে। মাসে মাসে সরকারী জমি দখলে রাখা আবাসন প্রকল্প গুলো থেকে মাসোহারা আনতেন তারা। এজন্য চোখের সামনে সরকারি জমি দখলে নিয়ে রাখলেও ব্যবস্থা নেয়নি তারা।
এ বিষয়ে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নসহ যেখানে যেখানে সরকারী অর্পিত জমি রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলো উদ্ধার করা হবে। ইতি মধ্যে প্রায় ২শ’ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সরকারী জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করতে দখলদারদের ভূমি অফিসের কেউ কেউ সহযোগিতা করেছে বলে আমি শুনেছি, এগুলোর ব্যপারেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ