Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ড. কামালের প্রশ্নের জবাব দিলেন আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের প্রশ্নের জবাব দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কামাল হোসেন আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা কোন দিনই সংবিধান লঙ্ঘন করি নাই। আর সংবিধান লঙ্ঘন করার জন্য যদি কখনো আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় আমরা দাঁড়াবো। তিনি বলেন, আমি কিন্তু বিজ্ঞ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে এ ব্যাপারে শক্তভাবে জবাব দিতে পারতাম। কিন্তু আমার বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভ্যাস নেই। সে জন্য আমি করবো না। কিন্তু আমি অত্যন্ত সবিনয়ে বলবো যে, আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করিনা। মন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেন সংবিধান (খসড়া) প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন অথচ তারা যে সংবিধান দিয়ে গেছেন তার অনেক কিছুই আজকে ড. কামাল হোসেন অস্বীকার করছেন। গতকাল রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সদ্য যোগ দেয়া বিচারকদের জন্য আয়োজিত দ্বিতীয় ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাশেষে সরকারের সংবিধান লঙ্ঘনের বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনদিন মেয়াদী এ প্রশিক্ষণে জেলা জজ পদমর্যাদার ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল আরপিও সংশোধন বিল মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে। বিলটি পাশের জন্য বেশকিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং তারপর জাতীয় সংসদে পাশ করতে হবে। তাই এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা চাওয়া হবে এবং মন্ত্রিপরিষদ যে নির্দেশনা দিবে সে মোতাবেক কাজ করা হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তার বক্তব্যে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর সংশোধন হবে না। আমি তাঁর সঙ্গে আর একটা কথা বলতে চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা এবং অন্য কোন স্বাধীনতাই খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটা করা হয়েছে শুধু সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেটা হয়েছে তাতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কোনটাই ব্যহত হবে না। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য যেমন সহায়ক হবে তেমনি সঠিকভাবে বাস চালালে তা চালকদের জন্যও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, তারা বোধহয় আইনটা সঠিকভাবে না বুঝেই ধর্মঘট করছেন। কারণ এ আইনে এমন কোন শর্ত বা প্রভিশন নাই যে অন্যায় না করা সত্তে¡ও চালকদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। আমি তাদেরকে আহ্বান জানাবো তারা যেন এ পথ পরিহার করে।
অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশের আদালতসমূহের মামলাজট নিরসন করা। সরকার এ মামলাজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। এ বিষয়ে আমাদের সব ধরণের সহযোগিতা থাকবে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য চান ড. কামাল হোসেন।



 

Show all comments
  • Emdadul Badal ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:৫২ এএম says : 3
    কোন সংলাপের দরকার নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Rubel ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:৫৪ এএম says : 2
    আমরা চাই দেশে ভোটের পরিবেশ, জনগণের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক,
    Total Reply(0) Reply
  • Shahriar Rahman Shakil ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:৫৪ এএম says : 3
    কাজের কাজ কিছু হবে বলে মনে হয় না।
    Total Reply(0) Reply
  • Saidul Islam Sejan ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:৫৯ এএম says : 0
    এমন অনেক কিছুই হতে পারে যা কেউ ভাবেনি আগে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইনমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ