পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির প্রথমদিন পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে জনদুর্ভোগ পৌছেছে চরমে।
গতকাল দুপুরে নারায়াণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের বহনকৃতবাসে পরিবহন শ্রমিকরা হামলা করে। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা ওই বাসের কয়েক ছাত্রী ও বাস চালকের শরিরেও পোড়া মবিল লাগিয়ে দেয়। পাশাপাশি ভেঙেছে বাসের গ্লাস। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভূইগড় এলাকায় একটি পাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটায় শ্রমিকরা। শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকা পার হওয়ার সময় হঠাৎ শ্রমিকরা বাসটি থামিয়ে চালককে মারধর করে ও তার মুখে শরীরে কালি লেপে দেন। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কয়েকজন ছাত্রীকেও কালি লেপে দেন শ্রমিকরা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও শুরু করেন। পরে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে বাস থেকে সবাইকে নামিয়ে দেয়।
চালক মজিবর জানান, বাসটিতে ৩৮ জন ছাত্রী ছিল। তারা সবাই সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত। ছাত্রী বহনকারী বাসটি সাইনবোর্ড এলাকায় এলেই হামলা করে বাসের গ্লাস ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। পরে ছাত্রীদের গায়েও কালি মেখে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবিবা বলেন, আমাকে চালক জানিয়েছে ঘটনা। সেখানে উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করেছে এবং ছাত্রীদের সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছে। তাদের গায়ে কালিও দিয়েছে জানালো। বাসটি আপাতত একপাশে রাখা হয়েছে, কলেজে বাসটি ফিরলে বিস্তারিত জানতে পারবো।
শিমরাইল মোড়ে বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা জানান, রোগীবাহী এম্বুল্যান্স, মোটর সাইকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবাহী গাড়ী, রিক্সা, ভ্যান কেউ রেহাই পাচ্ছেন না আন্দোলনকারীদের হাত থেকে। সকালের দিকে কিছু দুস্কৃতিকারী বিআরটিসির ২টি গাড়ী আটকিয়ে ক্যাশ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। এ অবস্থায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্টে একজন এস আইসহ ৫/৭ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন অসহায়ের মত ।
সংঘবদ্ধ শ্রমিকরা বেসরকারিভাবে চলাচলকারী গাড়ি আটকে দিচ্ছে এবং তাদের শরীরে-মুখে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেয়। ফলে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মস্থলগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ পরিবহন না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই চলতে গন্তব্যস্থলে রওনা দেন। কেউ কেউ ভ্যান রিকশা করে কর্মস্থলে গিয়েছেন।
এদিকে চিটাগাং রোড, সাইনবোর্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সকল পরিবহনের কাউন্টার গুলো বন্ধ করে রেখেছে কাউন্টারের সামনে নেই কোনো যাত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।