রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইবাস সড়ক নির্মাণকালে সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে দেখিয়ে জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখা হতে কৌশলে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সিএনজি পাম্প মালিকের বিরুদ্ধে। মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় অবস্থিত মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে মির্জাপুর ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
এদিকে এই প্রতারনার ঘটনায় জেলায় একটি তদন্ত কমিটি হচ্ছে বলে গতকাল শনিবার মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন জানিয়েছেন।
এদিকে ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইল ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস সড়ক নির্মাণের সময় সরকার এলএ ৫৪/৯৫-৯৬ নম্বর কেসের মাধ্যমে উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী মৌজার এসএ ৪২৪ নং দাগের ৩.১০ একর ভূমির মধ্যে ১.৫৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে। অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ মূল্যও নির্ধারণ করে সরকার। কিন্ত অধিগ্রহণকৃত দাগের ওই ভূমি অর্পিত সম্পতি হওয়ায় ক্ষতিপূরণের টাকা সরকারি তহবিলে আটকে থাকে। ২০১২ সালে সরকারি নির্বাহী আদেশে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তির আইন পাস হলে ইব্রাহিম মিয়া ২০১৩-১৪ সালে ৯০৩ (ওঢ-১) নং মোকাদ্দমামূলে ওই দাগে ০.৯০ একর ভ‚মি নিজ নামে নামজারি ও জমাভাগ করে ২০০৮ নং হোল্ডিং এ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। ০.৯০ একর ভূমি নামজারি ও জমাভাগ করলেও একই হোল্ডিংমূলে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইল ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ১.৪৮ একর ভ‚মির ক্ষতিপূরণ বাবদ সাত লাখ ৯৭ হাজার ৯৪০ টাকা উত্তোলন করেন। এ সময় তিনি অতিরিক্ত ০.৫৮ একর ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ১২ হাজার ৭০৬ টাকা সরকারি তহবিল থেকে হাতিয়ে নেন। এরপরও তথ্য গোপন রেখে ইব্রাহিম মিয়া একই হোল্ডিং এ ০.৯০ একর ভূমির বাবদ প্রতিবছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে যাচ্ছেন। প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত ০.৫৮ একর ভূমির ক্ষতিপূরণের টাকা হাতিয়ে নেয়া ও উত্তোলনকৃত ভূমির উন্নয়ন কর পরিশোধ করার বিষয়টি মির্জাপুর উপজেলা সহাকরী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেনের নজরে এলে তিনি ০.৯০ একর ভূমির নামজারি জমাভাগ ও হোল্ডিং বাতিল করেন। এ ছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত ০.৫৮ একর ভূমি বাবদ অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমানকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে মো. আজগর হোসেন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মো. ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ওখানে ১৭৬ শতাংশ জমি রয়েছে। আমি ছাড়াও অসিতবরন সরকার ও চান মিয়া নামে আরও দুই ব্যক্তির নামে জমি ছিল। তারা তাকে পাওয়ার দেয়ায় টাকা তুলে তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে এই প্রতারণার ঘটনায় জেলায় একটি তদন্ত কমিটি হচ্ছে বলে শনিবার মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।