বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়নে ঘর দেওয়ার নামে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। যেন দেখার কেউ নেই। টাকা দিলেই মিলবে ঘর এমনটা আশা করে পারইল ইউনিয়নের অসহায় অতিদরিদ্র মানুষ এমনকি সুদের উপর টাকা নিয়ে ঘর পাওয়ার আশায় ঘুষ দিয়েছে ওই ইউনিয়নের মেম্বারদের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মেম্বার দীনেশ, জাহিদ ও মহিলা মেম্বারের স্বামী মকবুল এর বিরুদ্ধে। তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অসহায় অতিদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে।
জানা গেছে, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ‘জমি আছে ঘর নেই’ এই প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে তৃণমূল স্তরের অসহায় অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। আর এটাকেই পুঁজি বানিয়ে নওগাঁর রাণীনগরের পারইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা যোগসাজসে পারইল ইউনিয়নের অসহায় অতিদরিদ্র মানুষকে একটি করে ঘর দেওয়ার নাম করে ৫ থেকে ১০ হাজার এমনকি তার বেশিও টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রায় ১ থেকে দেড় মাস আগে অনেক অসহায় অতিদরিদ্র পরিবারের লোকজন ঘর পাওয়ার আশায় মেম্বারদের টাকা দিয়েছে। তারা হলেন, ওই ইউনিয়নের মেম্বার দীনেশ, জাহিদ ও মহিলা মেম্বার এর স্বামী মকবুল এর বিরুদ্ধে।
পারইল সরদারপাড়া গ্রামের আরফান এর ছেলে রহিদুল জানান, পারইল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার দীনেশ আমাকে ঘর দেওয়ার কথা বলে ৮ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি এখনো ঘর পাইনি।
পারইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের যতীনন্দ্রনাথ সাহার ছেলে দিবারন চন্দ্র সাহা (ব্যবসায়ী) জানান, মেম্বার দীনেশ আমাকে ঘর দেওয়ার কথা বলে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
ঘর দেওয়ার নাম করে অসহায় অতিদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করে পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, গোটা ইউনিয়ন এনজিও’র মারফতে সমন্বয় করিয়েছে। তিনি আরো বলেন শুধু আমি না এই ইউনিয়নের সকল মেম্বাররা এই ঘরের নামে টাকা তুলছে।
এছাড়াও পারইল গ্রামের খোরশেদের স্ত্রী পারভীন জানান, আমি গরীব অসহায় মানুষ আমাকে ঘর দেওয়ার নাম করে পারইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহিদ আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। সেই টাকা আমি সুদের উপর নিয়ে দিয়েছি এখন সেই ৫ হাজার টাকার ৩ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়েছে। জাহিদ মেম্বার আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলো আমি সুদের উপর নিয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি এখনো ঘর পাইনি।
এ ব্যাপারে মহিলা মেম্বার ফরিদার সাথে কথা বলা যায়নি, তবে তার স্বামী মকবুল ঘর দেওয়ার নাম করে ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি কোন টাকা নেয়নি।
এ ব্যাপারে পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মজিবর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে ঘরের কোন সরকারী বরাদ্দ নাই। অন্যান্য ইউনিয়নে বাড়ি ঘর হচ্ছে তাই এনজিও মাঠে নেমেছে। পারইল ইউনিয়নে কেউ কোন টাকা দেয়নি তাই এখানে কোন বরাদ্দ আসেনি। এই বরাদ্দ দিয়ে তারা মেম্বারদের সাথে যোগসাজসে হয়তো কিছু টাকা তুলেছে। যদি কেউ কোন মেম্বারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে তাহলে মেম্বারদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।