পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুড়িতিস্তা নদীতে পানি আর পানি। সেই নদীতে চলছে চাষবাস। ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ। দেখলে মনে হবে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসছে শাকসবজির ভেলা। একদিকে লাল শাকসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি। অন্যদিকে ভাসছে লাউ গাছের ছাউনি। তাতে ধরেছে সারি সারি লাউ। এ যেন এক অন্য রকম দৃশ্য।
চলতি বছর দুইজন কৃষক উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষাবাদ করে লাভবান হয়েছেন। তাদের পদ্ধতি দেখে এলাকার অনেক কৃষক ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে উৎসাহিত হয়েছে। কৃষকরা জানান, আগামীতে তারাও ভাসমান পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়াই শাকসবজি চাষাবাদ করবেন। তাদের মতে, দখল হওয়া বুড়িতিস্তা নদীতে আগামীতে দেখা যাবে ভাসমান সবজির সারি সারি ক্ষেত।
সরেজমিন বুড়িতিস্তা পাড়ে গিয়ে কথা হয় আজাদুন্নবী ও রাশেদুজ্জামান নামে দুই কৃষকের সাথে। তারা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে উপজেলা সদরের অদুরে রামদাস ধনিরাম বলদী পাড়া গ্রামে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসমান বেডের ওপর লাল শাক, করলা, বরবটি ও লাউ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে বাজারে বিক্রিও শুরু করেছেন। কীটনাশকমুক্ত শাকসবজি বাজারে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ (ডিএই অঙ্গ) প্রকল্প বাস্তবায়নে বুড়িতিস্তা নদীতে চাষাবাদ এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অনেকে বিকেলে ক্ষেতের কাছে গিয়ে সবজি কিনতে অপেক্ষা করেন।
বর্তমানে এই প্রদর্শনী দেখে এলাকার অনেক কৃষক আগামীতে এভাবে গোটা বুড়িতিস্তা নদীর ওপর ভাসমান বেড তৈরি করে লতা জাতীয় সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অশোক কুমার রায় বলেন, বিনা খরচে সার কীটনাশক ছাড়াই এভাবে ভাসমান বেডে নানা জাতের সবজি চাষ করা হলে অল্প শ্রমে বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।