পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সচিব পদে পরিবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ভুমি সচিবসহ সরকারের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব নিয়োগ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন আসলে সপ্তাহের প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এটাই হবে বর্তমান সরকারের শেষ রদবল। এর পরে প্রশাসনে রদবদল নাও হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনে রদবদল ও ছুটির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নেয়ার বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি জানিয়ে তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনে রদবদল না করার জন্য কমিশন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। কারণ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তখন যে সরকার থাকবে সেই সরকার নীতি নির্ধারনী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তারা মূলত রুটিন ওয়ার্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ফলে এ বদলি ও পরিবর্তনের কাজ এ সপ্তাহে চূড়ান্ত করবে সরকার। ইতোমধ্যে ২৭৩জন উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এর পরে সচিব পদে পদোন্নতি ও রদবল করা হবে।
প্রশাসনে ১২ জন সচিব পরিবর্তন, নতুন নিয়োগ ও বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যাদের সচিব করা হবে তাদের সকল তথ্যসহ সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত সপ্তাহে পাঠানো হয় তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ক্ষতিয়ে দেখছেন। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত বলার নয়। তবে চলতি বছরই নভেম্বর ও ডিসেম্বরে উলেখযোগ্য সংখ্যক সচিব অবসরে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরনা হলে জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসন সাজানো হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ-এপিডি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ইনকিলাবকে বলেন, যারা অবসরে যাবেন তাদের পদ খালি থাকতে পারে না। সে খানে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আমরা সেই কাজটি করছি। তিনি বলেন,খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত হবে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেন সেভাবেই হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানাগেছে, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ তালিকায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, ভুমি সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পরিবর্তন আনার সম্ভবনা রয়েছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ আগামী সপ্তাহে যে কোন সময় প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে বিসিএস ১৯৮৪ ও ৮৫ ব্যাচ থেকে নতুন সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। ৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তারাই নতুন সচিব পদে নিয়োগ পাওয়ার গুনজন শুরু হয়েছে। এদিকে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম অবসরে যাবেন ১৩ ডিসেম্বর। তার আগেই স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব করা হতে পারে। তার মেয়াদ শেষের আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলে তখন স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদকে অন্যকোন মন্ত্রণালয়ে দেয়া হতে পারে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য সচিব নিয়মিত অবসরে যাচ্ছেন। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান গত ২৩ অক্টোবর অবসরে গেছেন। একইদিনে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীর। কিন্তু অবসরে যাওয়ার আগেই তাকে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভূমি সচিব আবদুল জলিল অবসরে যান ২০ অক্টোবর। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম ২৭ অক্টোবর ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী ৩১ অক্টোবর অবসরে যাবেন। ২ নভেম্বরে অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও আবেদন করে আগাম অবসর নিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান। তিনি হাইকোর্টের বিচারপতির পদমর্যাদায় ৫ বছরের জন্য দুদক কমিশনার হয়েছেন। বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার ৩০ নভেম্বর অবসরে যাবেন। একই দিনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান ও বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বোস অবসরে যাচ্ছেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী ১৫ ডিসেম্বর, তথ্য সচিব আবদুল মালেক ৩০ ডিসেম্বর, ২৪ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মোশারফ হোসেন। ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভুইয়া, সংস্কৃতি সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ। গত ১৮ অক্টোবর সরকারি কর্মকমিশনের সচিব আকতারী মমতাজ অবসরে যাওয়ায় সেখানে নিয়োগ পেতে পারেন বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের একজন নারী কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।