Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড কটন সামিট

প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্টার : শেষ হল দুই দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড কটন সামিট। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনের ওয়ার্ল্ড কটন আউটলুক সামিট ২০১৬ শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও আইবিসি এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিটিএমএ-এর সহ-সভপতি ফজলুল হক প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম বলেন, বস্ত্রখাতের সমস্যা সমাধানে শিগগিরই বস্ত্রনীতি করা হবে। এটা করা হলে বস্ত্রখাতের অনেক সমস্যারই সমাধান হবে। বাংলাদেশ শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছরই এর চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের কারখানাগুলো দেশের তৈরি পোশাক খাতের পাটশিল্প হিসেবে বিশাল ভূমিকা রাখছে। এখাত থেকে নীট পোশাকে মূল্যে সংযোজন করছে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ আর ওভেনে এটা প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। এই মূল্য সংযোজন আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বিটিএমএ সভপাতি তপন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ তুলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। তাই ভারত থেকে কিভাবে তুলা আমদানি সহজ ও নিশ্চিত করা যায় এই নিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা তথ্য উপাত্ত নিয়ে বৈঠক করে ঠিক করবে। এ জন্যই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ তৈরি পোশাক এবং বস্ত্র খাত থেকে আসে। আর এটি সম্ভব হয়েছে স্থানীয়ভাবে স্পিনিং মিলগুলো প্রয়োজনীয় সুতা ও কাপড় কম সময়ে সরবরাহ করার জন্যে। আর টেক্সটাইলে প্রধান কাঁচামাল তুলা বাংলাদেশ থেকে স্থানীয়ভাবে চাহিদা মেটানো যায় না। ফলে ৫০ শতাংশই আমদানি করতে হয় ভারত থেকে। তাই আমাদের তুলার সোর্স বা উৎস অব্যাহত রাখতে এই ধরনের সামিট কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বস্ত্রখাতে বছরে প্রায় এক কোটি বেল তুলার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে দেশের মিলগুলো তাদের সম্পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। এরপরও বিশ্বের সর্বোচ্চ তুলা আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ। গত দশ বছরে তুলা আমদানি বেড়েছে প্রায় শত ভাগ। ২০০৬ সালে যেখানে বাংলাদেশ তুলা আমদানি ছিল ৩ মিলিয়ন বেল সেখানে ২০১৫ সালে তুলা আমদানি করেছে ৬ দশমিক ১ মিলিয়ন বেল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড কটন সামিট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ