Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাংকিং খাত সীমিতকরণ দরকার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১:১২ এএম

দশ বছর মেয়াদে দশটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এখন মনে করছেন, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত ‘খুব বেশি বড়’ হয়ে গেছে। তাই এ খাতের একটু সীমিতকরণ দরকার হতে পারে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, কীভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে রিফর্ম করা যায়, সে বিষয়েই আলোকপাত করা হবে। এ রিপোর্টে প্রধানত ব্যাংকিং খাত সংস্কারের কথা থাকবে। তবে, শুধু ব্যাংকিং খাতই নয়, পুরো আর্থিক খাতের সংস্কার বিষয়ে রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমার পরামর্শে কী থাকবে, তা জানি না। আমি এখনও সেটা তৈরি করিনি। এটা কোনও সিক্রেট কিছু হবে না। তবে এটা যখনই করা হবে তখন তা মিডিয়াকে জানিয়ে দেয়া হবে। নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মাসেই গঠন হতে পারে নির্বাচনকালীন সরকার। ওই সরকারে তিনি থাকছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশে এখন সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৫৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৪টি। বাংলাদেশের আর্থিক খাতের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকের এ সংখ্যা বেশি বলে অধিকাংশ ব্যাংকারই মনে করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে ২০১২ সালে ৯ টি বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় ওই ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেয়া নিয়ে সে সময় সমালোচনা হয়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মালিকানায় সীমান্ত ব্যাংকের অনুমোদন দেয় সরকার। ঋণ কেলেঙ্কারির কয়েকটি বড় ঘটনায় গত কয়েক বছর ধরেই দেশের ব্যাংক খাত আলোচনায় রয়েছে। সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া কয়েকটি ব্যাংকও অনিয়ম আর তারল্য সঙ্কটে ধুকছে।
এ অবস্থায় গতবছরের শেষে আরও ৩ টি নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আমাদের অনেক ব্যাংক আছে ঠিক, কিন্তু তারপরও প্রচুর অঞ্চল ব্যাংক সেবার বাইরে আছে। এ কারণেই নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। গত জুন পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার মত, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৫ শতাংশ। এই বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ নিয়ে দেশে অর্থনীতিবিদদের যেমন উদ্বেগ আছে, তেমনি দুই সপ্তাহ আগে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ বার্ষিক সম্মেলনে বিভিন্ন বৈঠকেও এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মুহিতকে।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ যেহেতু শেষ হয়ে আসছে, সেহেতু তিনি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে যাবেন, যাতে পরবর্তী সরকার এসে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। গতকাল এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্থিক খাত নিয়ে তার সেই ‘প্রস্তাব’ এখনও তৈরি হয়নি। তবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি তা দিয়ে যাবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ