Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

না.গঞ্জে গার্মেন্টেসে শ্রমিক নিহত ব্যাপক ভাংচুর, আহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১:১২ এএম

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্প নগরীতে একটি রপ্তানিমূখী পোশাক কারখানায় জাকিউল ইসলাম নামের এক কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে কৃর্তপক্ষের দাবি তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে শ্রমিকরা সহকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। তারা বেশ কয়েকটি কারখানায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়। শ্রমিকরা প্রায় দুই ঘন্টা বিসিকে বিক্ষোভ করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে। এতে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানায়, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত ফেইম এ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি রপ্তনিমূখী পোশাক কারখানার সুপারভাইজার সামিউল বুধবার সকাল ৮ টায় কাজে যোগদান করেন। সকাল ১০ টায় ডিউটি চলাকালিন তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে ভাংচুর চালায়। পরে বিক্ষোভ পুরো বিসিক শিল্প নগরীতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতিপূরণের দাবীতে এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিসিকের প্রধান তিনটি ফটক বন্ধ করে দিয়ে ৭-৮টি পোশাক কারখানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায়। কারখানার আসবাবপত্র ভাংচুর করে বাইরে এনে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। শ্রমিকদের নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেলে বিভিন্ন কারখানার ১০ শ্রমিক আহত হয়। আহতদের নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি দেখে বেলা ১টায় বিসিক এলাকায় সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষণার পরও ভাঙচুর অব্যাহত রাখে শ্রমিকরা। ভাঙচুর চলাকালীন গণমাধ্যমকর্মীরা ভাঙচুরের চিত্র ধারণ করতে গেলে অল্প বয়সী কিছু শ্রমিক তাদের ওপর আক্রমনাত্মক আচরণ করে। শ্রমিকরা তাদের ঘেরাও করে এবং সকল ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র ডিলিট করতে বাধ্য করে। বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যে স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক জাকির মারা যায় সে স্থানটিতে কিছু সমস্যা ছিল। এ সম্পর্কে একাধিকবার মালিকপক্ষকে জানানোর পরও তারা এর কোনো সমাধান করেননি। যার ফল স্বরূপ শ্রমিক জাকির মারা যায়। মূলত: এ কারণেই শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি বিক্ষুদ্ধ হয়ে পরে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ