সভা-সমাবেশকে বানচাল করতে গিয়ে গনতন্ত্রের দেহে ভোটার বিহীন সরকার যেভাবে ছুরি চালাচ্ছেন তাতে সরকার নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ে সরকার বিরোধী দলের ওপর আগাম আক্রমন চালাচ্ছে। সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে চলমান ধরপাকড়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে ভদ্রতার কোন নিয়মকানুন মানেনি। বরং বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর তাদের আচরণ ছিল বেআইনী ও হিংস্র আগ্রাসনের ন্যায়। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাশহর জুড়েই যেন গত ২/৩ দিন অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করে রেখেছে। বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে। নগরীর উপশহরের রোজভিউ হোটেলের সামনে থেকে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ, এসময় আরও কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সিলেটে রেজেষ্ট্রারি মাঠের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভায় বিপুল জনসমাগম দেখে সরকার উন্মাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দু:শাসনের প্রকোপ প্রতিদিনই নুতন রূপ ধারন করেছে। তবে পৃথিবীতে কেউ নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হতে যেয়ে সফল হয়নি। বরং এটি হতে যেয়ে তাদের করুন পরিনতি হয়েছে। একদলীয় নির্বাচনের বাসনা সরকার প্রধানের অন্তরে নিত্য বিরাজমান বলেই বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে গনতন্ত্রকে সমূলে উচ্ছেদে উঠে পড়ে লেগেছেন। বিরোধী দলের ওপর উৎপীড়নের মাত্রা অব্যাহত থাকলে সরকারের সামনের দিনগুলো সুখকর হবে না। সরকারের সর্বব্যাপী নিপীড়নের সমুচিত জাবাব দিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।
তিনি খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে আটককৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করেন।