Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফটিকছড়িতে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ফটিকছড়িতে ‘সামাজিক আধিপত্য’ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সল হত্যাকান্ডের জের ধরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে বাদী-বিবাদী দু’পক্ষই। বিবাদী পক্ষের দাবি- ‘পূর্ব শত্রুতা’ হাসিলেই ফয়সল হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে তাদের ঘর-বাড়ি ভাংচুর, লুটতরাজ এবং অগ্নিসংযোগ হয়েছে। বাদী পক্ষ বলছে- খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দেখে উত্তেজিত জনতাই ঘর-বাড়িতে আগুন দিয়েছে। এ নিয়ে এখনো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গত সোমবার সকালে নিহত ফয়সলের পরিবার এবং গ্রামবাসীর পক্ষে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন ফটিকছড়ির নাজিরহাটস্থ জারিয়া কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফ বলেন, প্রতিবাদী ছাত্রলীগ নেতা আলী আকবর ফয়সলকে প্রকাশ্য খুনের ঘটনা দেখতে পেয়ে উত্তেজিত জনতা তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত ইউনুছ মিয়া মনা, আবু তাহের, নুরুল আলম সওদাগর, মুহাম্মদ ইব্রাহিম মনির, মুহাম্মদ রফিক ও মুহাম্মদ সরোয়ারের বসতঘরে আগুন দিয়েছে। আমি ওইদিন এলাকাও ছিলাম না। অথচ আমাকে ও আমার ছেলেদের এবং নিহত ফয়সল হত্যা মামলার বাদী (তার চাচা) ফারুকসহ এলাকাবাসীকে জড়িয়ে আসামী পরিবার মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে থানায়-কোর্টে অভিযোগ করেছে এবং সংবাদ সম্মেলন করে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনতাকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।
এ সময় ফয়সলের পিতা আব্বাস আলী, চাচা মোহাম্মদ ফারুক, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সোলায়মান, সাধন চন্দ্র শীল, সাবেক মেম্বার আব্দুস সালাম, আবু তাহের, ছাত্রলীগ নেতা জামাল উদ্দীন, সোহরাব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উলেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর রাতে ফটিকছড়ির নবগঠিত ২১নং খিরাম ইউপির হচ্ছারঘাট এলাকায় ফয়সল নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে জনসমক্ষে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা খুনী ও তাদের সহযোগীদের ঘর-বাড়ি ভাংচুর এবং আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। তারই প্রতিকারে গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি’র নাজিরহাটে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিবাদী পক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মেয়ে তানিয়া আকতার বলেছিলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িয়ে ‘পূর্ব শত্রু তা’ হাসিলে সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে মান্নান, জমির, শুক্কুর, জব্বারগং উত্তেজিত জনতাকে উসকে দিয়ে স্থানীয়-বহিরাগত দুস্কৃতকারীদের সাহার্য্যে আমার পিতা নুরুল আলম সওদাগরের পাকা ঘরে ঢুকে স্বর্ণ, স্মার্ট ফোন, ওমরায় যাবার টাকা ও ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। দামী সব আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও জালিয়ে দেয়। এ লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে আমাদের প্রায় ৬০/৭০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমরা এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ঘর-বাড়ি ছাড়া। আমরা ফয়সল হত্যার সুষ্টু বিচার দাবি করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ