ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আগাম জাতের ধানের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছেন কৃষকরা। আশানুরুপ ধানের দাম ও ফলন দুটোই পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসছেন কৃষক।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, আগাম জাতের ধানচাষ করে কৃষক একই সাথে দুইভাবে লাভবান হচ্ছেন। তিনি বলেন আগাম জাতের ধান কেটে ওই জমিতে রবি শষ্য আলু, ভুট্টা, সরিষা বা আউশ ধান চাষ করতে পারবেন। এতে করে একই জমিতে বছরে চারটি ফসল উৎপাদন করতে পারছেন কৃষক।

উপজেলা রাজারামপুর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, আগাম জাতের এ ধান একর প্রতি ৬২ মন (৪০ কেজিতে এক মন) ফলন হচ্ছে। তিনি এ জমির ধান কেটে আলু ও ভুট্টা চাষ করবেন। একই কথা বলেন পুর্ব রাজারামপুর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর ও সুজাপুর গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন। কৃষক ফারুক হোসেন বলেন এ ধানের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে। ধান বিক্রি করে আমরা আলু চাষ করছি, আলু ক্ষেতের সাথে ভুট্টাও চাষ হয়ে যাবে প্রায় একই খরচে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ বলেন উপজেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে, এর মধ্যে ১৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাতের উচ্চ ফলনশীল (উফসী) জাতের ২০০ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ১৫০০ হেক্টর। তিনি বলেন, এবার আগাম জাতের ধানে ৬৩ থেকে ৬৮ মন ধান ফলন হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও কৃষিজমি কমে যাচ্ছে, ফলে জনসংখ্যার সাথে খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারনে একই জমিতে বছরে চার ফসল উৎপাদন করতে হবে, এ লক্ষ নিয়ে কৃষকদের বছরে চারটি ফসল উৎপাদনের পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।