পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরের যশ খেজুরের রস। গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ। যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় মধুবৃক্ষ। ঋতুরাজ আসতে এখনো পৌনে দুই মাস। সময়ের অপেক্ষায় থাকার যে দরকার নেই সে কথাই বলছে প্রকৃতি। হেমন্তের শুরুতেই শীতের আগমনী বার্তা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।
যশোরের চারদিকে এখন খেজুর গাছ পরিস্কার করার কাজ চলছে। ডালপালা কেটে পরিস্কার করার পরই দফায় দফায় চাচ দেয়া হবে। বসানো হবে কঞ্চির নলি। যা দিয়ে খেজুর গাছ থেকে বেয়ে আসবে সুমিষ্ট রস। মাটির ভাড় বসিয়ে মধুবৃক্ষ থেকে সংগ্রহ হবে রস।
পুরো শীতকাল চলবে মধুবৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীণ উৎসব। গ্রামে গ্রামে তৈরী হবে খেজুরের গুড় ও পাটালি। আর কিছুদিন পরই শহর থেকে গ্রামে প্রবেশ করলেই শীতের ঝির ঝির বাতাসে ভেসে আসবে রস-গুড়ের মিষ্টি গন্ধ। গ্রামীণ পরিবেশকে একরকম মাতিয়ে তুলবে রস-গুড়।
রস জ্বালিয়ে ভিজানো পিঠা ও পায়েস খাওয়ার ধুম পড়বে প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে। দানা, ঝোলা ও নলেন গুড়ের স্বাদ ও ঘ্রাণই আলাদা। রসনা তৃপ্তিতে এর জুড়ি নেই। খেজুরের রস, গুড় ও পাটালির কদর প্রতিবছরই বাড়ছে। রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে যায় গুড় ও পাটালি নিয়ে। বিশেষত্ব হচ্ছে যত শীত তত মিষ্টি ও সুস্বাদু হয় খেজুরের রস।
হাড় কাঁপানো শীতের গুড় ও পাটালির চাহিদা সবচেয়ে বেশী। অসময়ে হাজারো চেষ্টা করেও শীত মৌসুমের আসল গুড় পাওয়া যাবে না। পাওয়া গেলেও তা হবে ভেজাল কিংবা চিনি মিশানো। তাই শীত মৌসুমে সবাই খেজুরের রস, গুড় ও পাটালি সংগ্রহের জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে থাকে।
বর্তমানে পুরোদমে চলছে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্ততি। গাছিরা ধারালো দা হাতে ছুটছেন খেজুর গাছের কাছে। মোটা দড়ি কোমরে বেধে পাখির মতো ঝুলে গাছি দা দিয়ে গাছ কেটে তাতে মাটির ভাড় ঝুলাবে। মৌসুমের শুরুতে খেজুর গাছিদের চোখে মুখে খুশির চিহ্ন। তাদের খুশি ম্লান হয়ে যায় যখন উপযুক্ত মূল্য না পায় রস, গুড় ও পাটালির। তাছাড়া খেজুর গাছের সংখ্যাও কমে গেছে।
অতীতের মতো অনেক লাভজনক না হলেও মৌসুমী আনন্দ গাছিদের নতুন এক গতি সৃষ্টি করে থাকে। এবারও তার ব্যতয় ঘটছে না। তবে আগে প্রতিটি গ্রামে প্রায় বাড়ী বাড়ী রস ও গুড় তৈরীর রমরমা অবস্থা ছিল। এবার একেবারেই কম। কোন কোন গ্রামে খেজুর গাছ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গাছ থাকলেও গাছি নেই। অথচ খেজুরের গুড় শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার যথেষ্ট সুযোগ ছিল। যা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।