Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারাদেশ আওয়ামী লীগের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে

নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

শাসকগোষ্ঠীর ফ্যাসিবাদের আক্রমনে গোটা দেশ আওয়ামী লীগের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রমপ্রসারমাণ নৈরাজ্যে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা এখন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হয়েছে। এরা যেন নিজ দেশেই পরবাসী। এদেশে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ছাড়া ভিন্ন মত, পথ ও বিশ্বাসের মানুষের নিরাপদ সুস্থ্য জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। নিরঙ্কুশ আওয়ামী আধিপত্যের কাছে কুর্নিশ করতে দেশের মানুষকে বাধ্য করার চেষ্টা করতে গিয়ে সরকারি অফিস, পুলিশ, প্রশাসন, হাসপাতাল, চিকিৎসা, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, বীমাসহ সর্বত্রই চলছে এক ভয়াবহ ‘এনার্কি’। বিভাজনের নিকৃষ্টপন্থা অবলম্বন করে জাতীয় পরিচয়ের চেয়ে দলীয় গজকাঠিতেই পরিমাপ করা হচ্ছে মানুষের যোগ্যতা, দক্ষতা, চিকিৎসা সেবা ও মানবতা। গতকাল (রোববার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছেনা। তাকে বন্দী করে রাখাই হয়েছে কষ্ট দেয়ার জন্য, সেখানে উন্নতমানের চিকিৎসার প্রশ্নই আসেনা। বিএসএমএমইউতে শুধুমাত্র ফিজিও থেরাপী দেয়া হয় সেটিও পর্যাপ্ত নয়। তাঁর ব্যক্তিগত বিশেজ্ঞ ডাক্তারদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য, অথচ এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বেআইনীভাবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ অক্টোবর। বিবাদীর অনুপস্থিতিতে মামলার রায় নির্ধারণ পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। সরকার প্রধানের নির্দেশেই সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলকভাবে এ রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। সেজন্যই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের ওপর চাপসৃষ্টি করে রায়ের দিন ধার্য করে নিয়েছে। আরেকটি ফরমায়েশি রায় হতে যাচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য দেশবাসী প্রহর গুনছে। এ আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে কিনা সেই প্রশ্নও মানুষের মনে জেগে উঠছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কতিপয় কমিশনার ও কর্মকর্তারা নিজেরা যে আচরণবিধী তৈরি করছেন তা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থি। কারণ এই কমিশনের কয়েকজন আধিকারিক কমিশনের ক্ষমতা কমিয়ে সরকারকে দিতে চান। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করার নজীর পৃথিবীর কোথাও নেই। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের সময় সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টির করতে আইন করতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) ইসিকে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা। অন্যান্য দাতা ও সাহায্য সংস্থা, বিদেশী মিশন থেকেও নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতারা যেভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন তা সন্ত্রাসী আচরণ এবং এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন ছুটি নিয়েছেন নাকি নিতে বাধ্য করা হয়েছে তাও রহস্যজনক। ইসিকে সর্বোচ্চ চাপে রেখে কাজ করাচ্ছে সরকার।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুনির হোসেন প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ