রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নেছারাবাদে নীরবে অবৈধ নোট-গাইডের বাণিজ্যির প্রসার ঘটাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের কিছু অসাধু শিক্ষক। প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধিদের দেয়া লোভনীয় ডোনেশন মোহে পড়ে সংগঠনের গুটিকয়েক নেতাদের কর্তৃত্বেই নেছারাবাদ থেকে রোধ হচ্ছে না নোট-গাইডের রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ অভিভাবকসহ বিভিন্ন জনের। সংগঠনের ওইসব অসাধুরা নিজ নিজ বিদ্যালয় বা সংগঠনের উন্নয়নের কথা বলে প্রকাশনী থেকে মোটা আকারের টাকা নিয়ে উন্নয়ন ঘটাচ্ছেন নিজের ব্যক্তি জীবন।
সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা তাদের প্রকাশিত নোট-গাইড পাঠ্য করতে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছেন শিক্ষক সংগঠনের অসাধু কিছু শিক্ষকের সাথে। সুযোগে ওইসব শিক্ষকেরা বেঁকে বসে সর্বোচ্চ ডোনেশন চাচ্ছেন প্রকাশনীর প্রতিনিধিদের কাছে। নোট-গাইড পাঠ্য করতে শিক্ষক সংগঠনের মনোনীত সংখ্যাগরিষ্ঠ অসাধুদের শিক্ষকদের ম্যানেজ করে কৌশলে যেন তেন নোট-গাইড পাঠ্য করার রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। গুঞ্জন রয়েছে, ইতোমধ্যে আল-ফাতাহ, জুপিটারসহ কয়েকটি প্রকাশনীর প্রতিনিধি তাদের প্রকাশিত নোট-গাইড পাঠ্য করতে বৈঠকও করেছেন ডোনেশনের ব্যাপারে। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত অসাধুরা। একই সাথে উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন ও সরকারি প্রাইমারি পর্যায়ে কিছু অখ্যাত প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা তাদের প্রকাশিত নোট-গাইড পাঠ্য করতে ধরণা দিয়ে যাচ্ছেন অসাধু শিক্ষক নেতাদের কাছে। নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন বই বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দেয়া প্রকাশনা সংস্থার বই তালিকা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে হয়। এসব বইয়ের একটি নির্ধারিত কমিশন দিতে হয় তালিকা প্রস্তুতকারী শিক্ষককেও।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, সরকারি নির্দেশনার বাইরে যদি কেউ নোট-গাইড প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করে, তা হলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অসাধু ওই গুটিকয়েক শিক্ষক টাকার বিনিময়ে তাদের নোট-গাইড বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে নোট-গাইড প্রচার করে। যে কারণে এ উপজেলা থেকে কিছুতেই রোধ হচ্ছে না নোট-গাইডের ব্যবসা। উপজেলার গত কয়েক বছরের এ ধারা অব্যাহত রেখে ফের নতুন বছর আসতে না আসতেই শিক্ষক সংগঠনের নেতারা শুরু করেছেন নোট-গাইড প্রকাশনীর প্রতিনিধিদের সাথে ডোনেশনের আলাপ-আলোচনার বৈঠক। যে প্রকাশনী যত বেশি ডোনেশন দিতে সমর্থ্য হবেম তাদের গাইড সিলেক্ট করে বলে দেয়া উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের। নতুন বছর আসতে না আসতেই ফের চিন্তায় পড়েছেন বিশেষ করে দরিদ্র শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।