Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলার মাঠে বিদ্যুতের তার!

আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে মো. মনসুর আলী | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বগুড়ার সান্তাহারে খেলার মাঠের ওপর দিয়ে রেল কোয়ার্টারে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এতে মাঠে স্থানীয় কোমলমতি শিশুরা আশঙ্কাজনক অবস্থার মধ্যে খেলাধুলা করছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিলেও বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগের নজরে পড়ছে না। এলাকাবাসী জানান, শহরের স্টেশন এলাকার রেল কোয়ার্টার দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করছে প্রায় শতাধিক পরিবার। নিজস্ব সম্পতি বা বাড়িঘরের কাজগপত্র দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার বিধান থাকলেও স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস কাগজপত্র ছাড়াই ওইসব রেলকোয়ার্টারে শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠের ভেতর দিয়ে অবৈধভাবে এলোমেলো বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। দিন দিন মাঠের মাঝখানে তারগুলো ঝুলে আসছে। প্রতিদিন এই খেলার মাঠে এলাকার শিশু-কিশোরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে খেলাধুলা করছে। যে কোনো সময় ওই ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে জরিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী এবং মাঠের দুই পাশ দিয়ে চলাচল করা জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানিয় বাসিন্দা মিন্টু জানান, শিশুরা যখন খেলাধুলা করে তখন মনে হয় ‘এই বুঝি বৈদ্যুতিক তারে ফুটবল লেগে দুর্ঘটনা ঘটল’। এ জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ওইসব তারের নিচে শিশুদের খেলাধুলা করতে দেখলেই টেনশন হয়। এলাকার অভিভাবকরা সবসময় তাদের শিশু-কিশোরদের নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন। এলাকার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ইচ্ছেমতো এসব রেলওয়ে কোয়ার্টারে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়, তাও আবার শিশুদের খেলার মাঠের ওপর দিয়ে এলোমেলোভাবে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে নেয়া অথবা খঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন এলাকার সচেতন মহল। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের সান্তাহার বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ