পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাথে মাদরাসা শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল দাবি-দাওয়া পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, অতীতে মাদরাসা শিক্ষকদের অনেক দাবি-দাওয়া পূরণ হয়েছে। রাস্তায় কোন আন্দোলন ছাড়াই ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন, স্কুল-কলেজের ন্যায় মাদরাসা শিক্ষকদের মর্যাদা, ইবতেদায়ী নীতিমালা ও নিয়োগ কাঠামো হয়েছে। এগুলো সবই হয়েছে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অধীনে সকল মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণে। এখনো যে দাবি-দাওয়াগুলো আছে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী দিনেও তা পূরণ হবে কোন আন্দোলন ছাড়াই। শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন জাতীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
সভায় জমিয়াত সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে কোন সময় কি করবেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সকলেই চিন্তা-ভাবনা করছেন। এই শিক্ষা সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা ধারনা ছিল যে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশেষ করে আলিয়া ধারার মাদরাসা শিক্ষাকে তারা সাধারণ শিক্ষার সাথে মিশিয়ে ফেলতে পারবে। এজন্য নানাবিধ সুযোগ-সুবিধাও দিয়েছে। যে কাজ শুরু হয়েছিল চার দলীয় জোট সরকারের সময়। সে সময় বলেছিল একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা হবে। এটা বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন। সেই প্রেসক্রিপশন এখনো দুর্বল হয়নি, এখন তারা কৌশল পরিবর্তন করেছে। সময় হয়তো বৃদ্ধি করেছে। তাদের এই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষা শুধু দাবি-দাওয়ার জন্য নয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এদেশে মাদরাসা শিক্ষা যারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন- ফুরফুরা, ছারছীনা, জৈনপুরী, ফুলতলীসহ বিভিন্ন পীর-আওলিয়াম কেরাম, খানকা দরবার। তারা এদেশে একটি ইসলামী ধারা, ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার জন্য একাজ করেছেন। কোন বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে না। জমিয়াত সভাপতি বলেন, দাবি-দাওয়া মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যেকটা মানুষের থাকবে। কিন্তু এটিকে কেন্দ্র করে যেন কেউ বিভক্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আলেম সমাজ ও সাধারণ শিক্ষক সমাজ, অন্যান্য পেশাজীবীদের মধ্যে ফারাক থাকতে হবে। অন্যদের দাবি-দাওয়ায়ই মূল লক্ষ্য, আমাদের লক্ষ্য দেশে ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত করা।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন,এখন সমাজ এমন একটা জায়গায় আছে যেখানে মাদক থেকে শুরু করে, নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা এবং শিক্ষিতদের অনেক সঙ্কটের মধ্যে এখন তারা চিন্তা শুরু করেছে কিভাবে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের সঠিক ব্যবহার করা যায়। মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা এখন সমাজের সবচেয়ে কাক্সিক্ষত শ্রেণিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এজন্য একপক্ষ চায় যে এটাকে সাধারণ শিক্ষার সাথে একীভূত করতে, আবার আরেক পক্ষ চায় সকিয়তা ঠিক রাখার জন্য।
তিনি বলেন, দাবি-দাওয়া করতে গিয়ে মূল ধারাকে ভুললে চলবে না। আমরা শিক্ষার জাতীয়করণ চাই। মাদরাসা শিক্ষার সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আমরা আরও সক্রিয়। ইবতেদায়ী শিক্ষকদের নীতিমালা ও নিয়োগ কাঠামো হয়েছে। এটি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সক্রিয় ও একক ভূমিকাতেই হয়েছে। এটা গ্রামে-গঞ্জে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সব সময় সর্তক থাকতে হবে আমাদের মূল দাবি শিক্ষার জাতীয়করণ।
মাদরাসায় আলেমদের প্রাধান্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে জমিয়াত সভাপতি বলেন, যেভাবে মাদরাসা শিক্ষার কারিকুলাম হচ্ছে এতে মাদরাসা শিক্ষায় আলেমদের আধিপত্য থাকবে না। সাধারণ শিক্ষকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে। এজন্য কারিকুলাম সিলেবাসে দেখতে হবে যাতে মাদরাসায় আলেম-ওলামারা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে। মাদরাসার প্রিন্সিপাল যাতে একজন আলেম হতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
জমিয়াত মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি মাওলানা রুহুল আমীন খান,যুগ্ম মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান, প্রিন্সিপাল মাওলানা এ কে এম মনোওর আালী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আবদুর রাজ্জাক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, অর্থ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ রেজাউল হক, ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ শামসুল হক কাসেমী, প্রিন্সিপাল মাওলানা ড. মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার, সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছাদেক হাছান, বরিশাল মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আবদুর রব, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ শাজহাজান মিয়া, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ মুখতার আহমদ, মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা কাজী আবুল বয়ান হাসেমী, সিলেট মহানগরীর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ছালেহ মোঃ কুতবুল আলম, রাজশাহী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল গফুর মিঞা, বরিশাল জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আ ন ম আনছার উল সরদার, গাজীপুর জেলার সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ জহিরুল হক, শেরপুর জেলার সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ নুরুল আমীন, সরসিংদী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আবদুল জলিল মিয়া, ফেনী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা হোছাইন আহমদ ভূইয়া, গাইবান্ধা জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলান মোঃ এবাদুর রহমান, বরগুনা জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানাশাহ মোঃ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, যশোর জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নূরুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফেজ মোঃ ওহিদুল হক, বগুড়া জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আব্দুল হাই বারী, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আবু সাঈদ, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাঃ নূর বখত্, লালমনিরহাট জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ মোসলেম উদ্দিন, শরীয়তপুর জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা তাছলীম উদ্দিন, জামালপুর জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ মোতালেব হোসেন খান, ঝালকাঠী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছালেহ্, পঞ্চগড় জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা ড. মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, দিনাজপুর জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ হাসান মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা এ বি এম মহিউদ্দিন হোসাইন, নাটোর জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আখতার হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ মাসউদ আলম, কক্সবাজার জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ কামাল হোছাইন, জয়পুরহাট জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আব্দুল মতিন, সিরাজগঞ্জ জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আতিকুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা জাখেরুল ইসলাম, পাবনা জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আনছারুল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আবদুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ রুহুল কুদ্দুস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আব্দুল হান্নান, নাটোর জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মতিন, নওগাঁ জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ ওয়ারেছ আলী, সিলেট জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ ছরওয়ারে জাহান, গাজীপুর মহানগর সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা এ কে এম কেরামত আলী, হবিগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, রংপুরের সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, বরিশাল জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মো ইব্রাহীম খান, মাদারীপুর জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ আবু রাফে, পিরোজপুর জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ ফারুক আহম্মদ হাওলাদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।