পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ডের বুজের ভেতর গোলাপী পেয়ারার সুনাম এখন দেশজুড়ে। চলতি মৌসুমে স্থানীয়ভাবে পেয়ারার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছে।
সীতাকুন্ডের গোলাপী পেয়ারার ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। এখানকার স্থানীয়রা গোলাপী পেয়ারাকে বাংলার আপেল বলে থাকে। উপজেলার বড়দারোগারহাট থেকে শুরু করে কুমিরা পাহাড়ি এলাকা পর্যন্ত গোলাপীসহ অন্যান্য জাতের পেয়ারার চাষ হয়। পুরো পাহাড়ি এলাকায় যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই পেয়ারার সারি সারি বাগান।
তবে পাহাড় ঘেরা অন্যান্য ফলের পাশাপাশি গোলাপী পেয়ারার চাষ হয় সবচেয়ে বেশি বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন এলাকায়। পাইকাররা কৃষকদের উৎপাদিত পেয়ারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
উপজেলা সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্রনাথের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সীতাকুন্ডে অন্যান্য জাতের পেয়ারা থেকে গোলাপী পেয়ারার ভিটামিন সবচেয়ে বেশি। কৃষকদের উৎপাদিত পেয়ারার উপরের অংশ সবুজ হলেও ভেতরের পুরোটাই গোলাপী। তাই শিশুদেরও খুব পছন্দের ফল এই পেয়ারা।
এদিকে বাড়বকুন্ডের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজ উদ্দিন জানান, বাড়বকুন্ডের গোলাপী পেয়ারার সুনাম দীর্ঘ দিনের। এ অঞ্চলে পাহাড়ি এলাকাজুড়ে ১০০ হেক্টর জায়গায় অন্তত ২০০ কৃষক বিভিন্ন জাতের পেয়ারা চাষ করেন। প্রতি মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় পেয়ারা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যান পাইকাররা।
এলাকার কৃষক মো. কাসেম জানান, প্রতি মৌসুমে তিন একর পাহাড়ি জায়গায় গোলাপী পেয়ারার চাষ করেন। এবার তার খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা। বাজারে পেয়ারা বিক্রি করেছেন তিন লাখ টাকারও বেশি। অন্যদিকে পৌর সদরের সোবহানবাগ এলাকার কৃষক মো. দিদার জানান, তিনি চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং ব্যসকুন্ডে ছোটকাল থেকেই বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি গোপালী পেয়ারার চাষ করছে। এবারও তিন একর জায়গায় পেয়ারার চাষ করেছেন। বিভিন্ন বাজারে চার লাখ টাকার গোলাপী পেয়ারা বিক্রি করেছেন। পৌরসভা এলাকার পেয়ারা পাইকার মো. আবুল হাসেম জানান, প্রতি মৌসুমে পেয়ারা পাইকারি দামে কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার শহরগুলোতে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।
এদিকে বাড়বকুন্ড এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, বাড়বকুন্ডের গোলাপী পেয়ারার সুনাম দীর্ঘদিনের। এ অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার মধ্যে শুধু বাড়বকুন্ড বøকে ১০০ হেক্টর জায়গায় অন্তত ২০০ কৃষক বিভিন্ন জাতের পেয়ারা চাষ করেছেন।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার সাফকাত রিয়াদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রতি মৌসুমে সীতাকুন্ডে তিন হাজার ৭৫০ টন পেয়ারা উৎপাদন হয়ে থাকে। সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ডের গোলাপী পেয়ারার ঐতিহ্য ও সুনাম দীর্ঘ দিনের। মৌসুমে ৩০০ হেক্টর পাহাড়ি জায়গায় ২৩শ’ কৃষক বিভিন্ন জাতের পেয়ারা চাষ করেছেন। তার মধ্যে পাহাড়ি ৯৫ হেক্টর জায়গায় ৯৫২ জন কৃষক শুধু গোলাপী পেয়ারার চাষ করেছেন। বড় দারোগারহাট, মধ্যম মহাদেবপুর, শেখনগর, চৌধুরীপাড়া, মৌলবীপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া, বাড়বকুন্ড, কুমিরাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে গোলাপী পেয়ারার চাষ করেন কৃষক। তিনি আরো বলেন, বাজারে এখন পর্যন্ত পেয়ারার দাম ভালো। তাই কৃষক গোলাপী পেয়ারা বিক্রি করে প্রতিবারের মতো এবারো লাভের মুখ দেখছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।