পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২১ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই ঘটনায় তাদেরই কোন পক্ষ নাটের গুরু। আর এই মামলাকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য রায় দেয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অন্যতম টার্গেট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোন রকম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রোশমূলক এই রায়ে তারেক রহমানকে প্রহসনের বিচারে সাজা দেয়া হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে জিয়া পরিবারকে হেয় করা হচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, মঈন-ফখরুদ্দিন গংদের সহায়তায় ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের নিজ বাসভবন থেকে বের করে দেয়া, বিমান বন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনা থেকে শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার নাম মুছে ফেলা, হত্যার উদ্দেশ্যে কাওরান বাজারে বেগম জিয়ার গাড়ীবহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের আক্রমণ, বালির ট্রাক দিয়ে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় ও তাঁর বাসভবন অবরুদ্ধ করে রাখা, একের পর এক সাজানো মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রাখা, সবই করা হয়েছে জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য।
২১ আগস্ট নিয়ে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের জন্য আবেদন করে ১৯ তারিখ তারা পুলিশের অনমুতি কপি পেয়েছে। অথচ শেখ হাসিনা বলেছেন ২০ আগস্ট রাতে দরজার নীচ দিয়ে পুলিশ অনুমতি পত্র দিয়ে গেছে যা তারা দেখেনি। এ কথা নির্জলা মিথ্যা। কারণ ১৯ আগস্টই অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। যদি মুক্তাঙ্গনে অনুমতি না পেতো তাহলে শেখ হাসিনা ২০ তারিখ বেরাইদের জনসভায় এ বিষয় নিয়ে কঠোর সমালোচনা করতেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে তিনি কিছুই বলেননি। যা তাঁর স্বভাব বিরুদ্ধ। আওয়ামী লীগের মধ্যে এটা নিয়ে লুকোচুরি খেলা হয়েছে। যা গভীর রহস্যের জন্ম দিচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশকে কোন কিছু না জানিয়ে মুক্তাঙ্গন থেকে সমাবেশ অকস্মাৎ তাদের দলীয় অফিসের সামনে নেয়া হলো কেন। অথচ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে রায়ে সাজা দেয়া হলো। তারা সমাবেশের ভেন্যু সম্পর্কে পূর্বে ওয়াকিবহাল না হলে নিরাপত্তা দিবে কিভাবে?
সরকার ও আওয়ামী লীগের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, কেন সমাবেশের পূর্বঘোষিত অবস্থান মুক্তাঙ্গনকে পরিবর্তন করে আওয়ামী পার্টি অফিসের সামনে নেয়া হয়? তাও আবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোন কিছু না জানিয়ে। কেন সাবের হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য হওয়ার পরও সেদিন মঞ্চে অবস্থান না করে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছিলেন? কেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা আইভি রহমানকে বারবার অস্থায়ী মঞ্চ ট্রাকের উপর উঠার জন্য টানাটানি করেছিলেন? একটি দলকে যদি ধ্বংস করারই পরিকল্পনা থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় নেতাদের বাদ দিয়ে সেই পরিকল্পনা হয় কিভাবে? যদি তাই না হয়, তাহলে একমাত্র আইভি রহমান ছাড়া বাকী সকল কেন্দ্রীয় নেতারা কিভাবে বেঁচে গেলেন? শেখ হাসিনার আশেপাশেই বড় বড় সব নেতারা দাঁড়ানো ছিলেন। আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু যদি শেখ হাসিনাই হতেন তবে গ্রেনেডগুলি সেদিকে না ছুঁড়ে অন্যদিকে ছোঁড়া হলো কেন? শেখ হাসিনার বক্তব্যকালে হামলাকারীরা গ্রেনেড নিক্ষেপ না করে বক্তব্য শেষ করার পর কেন করলো? বন্দুকধারীরা কি এতই বোকা যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন কোন প্রটেকশন ছাড়া ছিলেন, তখন গুলি করেনি, যখন তিনি বুলেটপ্রæফ গাড়ীতে চড়ে বসলেন তখনই গুলিবর্ষণ শুরু হয়ে গেল? এফবিআই-এর তদন্তের খাতিরে যখন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি দেখতে চাওয়া হয়, তখন সে গাড়িটি কেন দেখতে দেয়া হয়নি? মুফতি হান্নানকে কেন ৪১০ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল? মুফতি হান্নান বলেন-‘তারেক জিয়া, হারিছ চৌধুরী ও বাবরের সাথে হাওয়া ভবনে কখনোই দেখা করিনি, পিন্টু সাহেবের বাসায়ও কখনো যাইনি এবং চিনি না, অন্য আসামীদেরকেও আমি চিনি না। তাহলে লিখিত জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন করা এবং সেটি আদালত রেকর্ডে রাখার পরেও কিভাবে তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে উক্ত মামলায় জড়ানো হলো? তিনি বলেন, সবচেয়ে চমকপ্রদ কথা হচ্ছে-যার ভাষ্যের ওপরে এই মামলার সকল রায় নির্ধারিত হচ্ছে সেই মুফতি হান্নানকে বহু আগেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়া, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।