Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২১আগস্টের রায় বাতিল করে পুনঃতদন্ত দাবি রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:২৩ পিএম

২১ আগস্ট হামলা মামলার রায় বাতিল করে পুনঃতদন্ত ও বিচার কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সত্য ঘটনাকে মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করা আর মিথ্যাকে সত্য বলা আওয়ামী লীগের আদর্শিক চেতনা। জনগণকে তারা এতটাই অপাংক্তেয় মনে করে যে, তাদের ধোকাবাজি জনগণ টের পাবে না।
সুতরাং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল করতে হবে এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কাহার আকন্দকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষভাবে পুণঃতদন্ত করে পুনরায় বিচার কার্যক্রম শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি। মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ২১ আগস্ট সমাবেশে পুলিশের অনুমতি প্রদান না করার বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০ আগস্ট ২০০৪ তারিখ হতে ২২ নভেম্বর ২০০৭ পর্যন্ত প্রায় সোয়া তিন বছর সময়কালে কখনোই কোন সভা-সমিতি-সাক্ষাৎকার-আলোচনা-বিজ্ঞপ্তি-প্রচারণা ইত্যাদি কোথাও তিনি উল্লেখ করেননি।
২০ আগষ্ট ২০০৪ তারিখে সমাবেশ অনুষ্ঠানের আগের দিন বিকেলে তিনি মহানগরের বেরাইদ স্কুল মাঠে এক জনসভায় দীর্ঘ বক্তৃতা করেন। সেই বক্তৃতায়ও তিনি অনুমতি না প্রদানের বিষয়ে কোন কথা বলেননি।
২১ আগষ্ট ২০০৪ তারিখে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে আলোচ্য সেই সমাবেশে তিনি প্রায় ২০/২২ মিনিট ধরে যে বক্তৃতা করেন, সেই বক্তৃতায়ও তিনি একটিবারের জন্যও বলেননি যে, পুলিশী অনুমতি না পাওয়ার কারণে তাঁকে মুক্তাঙ্গনে সভা না করে এখানে করতে হচ্ছে।
২১ আগষ্ট ২০০৪ এ মর্মান্তিক ঘটনার পরবর্তী সন্ধ্যায় তিনি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বিবিসি’র সাথে এক সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারেও তিনি এমন অনুমতি না প্রদানের বিষয়ে কোন শব্দই উচ্চারণ করেননি। হঠাৎ করে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ হাই কমিশনারের হামলার পর আমরা মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। শেষ রাতে অনুমতি দেয়া হয়। কেন তা দেয়া হয়েছিল ?’
তিনি বলেন, ২১ আগষ্টের গ্রেনেড বোমা হামলা নিয়ে শুরু থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণ, বক্তব্য ও মন্তব্য সামঞ্জস্যহীন ও রহস্যাবৃত।
মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার ঘোষনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ৩ দিন ধরে প্রচার প্রচারণা চালালো, আর ২১ আগষ্ট সমাবেশের দিন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করে কেন দলীয় অফিসের সামনে গেল ? এতে কারো বুঝতে বাকী থাকে না যে, এর মধ্যে কোন দুরভিসন্ধি কাজ করেছে। পুলিশ যখন দেখলো তাদের না জানিয়ে সমাবেশ করছে তখন মতিঝিল থানার ওসি নিয়মমাফিক একটি জিডি করে। অল্প সময় হাতে পেলেও পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ সেখানে যায়।
মামলার বিচারিক কার্যক্রমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি, অথচ ফরমায়েসী রায় চাপিয়ে দেয়া হলো। আইন, বিচার ও প্রশাসনকে প্রতিহিংসা পূরণের হাতিয়ার করে আওয়ামী লীগের ক্রমান্বয়ে দানবীয় আত্মপ্রকাশ জাতির জীবনপ্রবাহ রুদ্ধ করার অভিঘাত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ