পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সরকারের নানা কালাকানুনের কারণে মানুষ এখন হাসতেও ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে পাথর চাপা দিয়ে গোটা জাতির দম বন্ধ করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালাকানুন করে-আপনারা গণতন্ত্রকেই লকআপ করেছেন। এখন মানুষ মন খুলে কথা বলতে এবং হাসতেও ভয় পায়। মানুষ এখন ডিজিটাল আতংকে ভুগছে। গণমাধ্যমগুলো’র মালিক ও সাংবাদিকরা চরম আতংকে আছেন। এরপরেও কী আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলতে হবে? গতকাল (সোমবার) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পড়ন্ত বেলায় প্রধানমন্ত্রীর খাপছাড়া বক্তৃতায় দৈন্যদশার বহিঃপ্রকাশ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, মাদারিপুরের শিবচরে শেখ হাসিনার বক্তব্য বিভ্রান্ত মনের উন্মাদনা। অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনার একগুঁয়েমির জন্য রাজনীতির ময়দান শান্ত, নিরাপদ ও সুখময় হয়ে উঠবে না। তিনি বলেন, মাওয়া ও শিবচরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আজগুবি, উদ্ভট, স্ববিরোধী নানা কথা বলেছেন-যা জাতিকে হতবাকই করেনি, মানুষ মুচকি হেসেছেও। আসলে তিনি তাঁর বক্তব্যে নিজ দলের অনাচারগুলো অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ২০০৬ সালের অক্টেবরে আপনি যখন লগী বৈঠা নিয়ে আপনার কর্মীদের ঢাকায় আসতে বলার নির্দেশ দিয়ে দলীয় লোকদেরকে দিয়ে ২৮ অক্টোবরে লাশের ওপর নৃত্য করালেন, তারপরেও কী আপনাকে শান্তির দূত বলতে হবে?
বর্তমান সরকারের সময়ে বিভিন্ন হত্যাকান্ডের কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, চট্টগ্রামে হত্যার হুমকির কথা বাদই দিলাম, এবারে ক্ষমতায় এসে বিএনপি’র মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে যুবনেতা-ছাত্রনেতাসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের গুম হওয়া-যা প্রত্যক্ষভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন দ্বারা সংঘটিত হয়েছে, তারপরেও কী আপনাকে মানবতার জননী বলতে হবে? বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার বিচার বহির্ভূত হত্যার হিড়িকে দেশব্যাপী আতংক ও ভয়ের গ্রাসের মধ্যেও আপনাকে কী বলতে হবে আপনি আইনের শাসনের সরকারের প্রধান?
আপনার (প্রধানমন্ত্রী) শাসনামলেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে, দেবালয়ের পুরোহিতকে হত্যা করা হয়েছে, বিদেশীরা হত্যার শিকার হয়েছে। আপনার দলের এমপি কচি বাচ্চা ছেলের পায়ে গুলি করেছে, নারায়ণগঞ্জের নিষ্পাপ কিশোর ত্বকী হত্যারও অভিযোগ সেখানকার আপনারই একজন এমপি’র বিরুদ্ধে, তারপরেও আপনাকে কী মাদার অব তেরেসা বলতে হবে?
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।