পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুব সমাজ। এই প্রতিশ্রুতিশীল যুব সমাজের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দেশের উচ্চশিক্ষিতদের প্রতি তিনজনে একজন বেকার। মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাব যুব সমাজের জন্য অমোচনীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করেন, যুব সমাজের উপযুক্ত ব্যবহার করতে না পারা বিরাট জাতীয় অপচয়।
গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় যুব সম্মেলন ২০১৮। ‘বাংলাদেশ ও এজেন্ডা ২০৩০ : তারুণ্যের প্রত্যাশা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ’।
অনুষ্ঠানে নাগরিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হবে। এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে ১০টিরও বেশি অভীষ্ট সরাসরি তরুণদের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই অভীষ্ট অর্জনে তরুণদের জ্ঞান, উদ্ভাবন ও উদ্দীপনার সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তরুণেরাই হবেন উন্নয়নের প্রধান সুবিধাভোগী ও অংশীজন।
যুব সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সরকার সমাজের কাউকে পিছিয়ে রেখে যেতে চায় না। দরিদ্র, দুর্বল, বয়স্ক ব্যক্তিদের সামাজিক সুরক্ষা নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সরকার কী করবে সেটি চিন্তা না করে, তরুণেরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কী করবে-সেটি চিন্তা করতে হবে।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া বাংলাদেশকে বাঁচাতে সচেতন থাকতে হবে। দেশকে দুর্বৃত্তদের হাতে যেন ছেড়ে দেওয়া না হয়। দেশে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি চলছে। এ রাজনীতি থেকে কীভাবে দেশকে মুক্ত করা যায় তরুণদের সেই উদ্যোগ নিতে হবে।
উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদিপ্ত মুখার্জি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ। যুব ব্যক্তিত্বদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এবং ৫৯তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক বিজয়ী আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী।
দিনব্যাপী সম্মেলনে মোট আটটি অধিবেশন হয়। সকালে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা, অংশগ্রহণমূলক যুব নেতৃত্ব, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, মানসম্মত শিক্ষা শীর্ষক চারটি অধিবেশন সমান্তরালে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, সুশাসন ও আইনের প্রয়োগ, উগ্রবাদ ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও স্যানিটেশন শীর্ষক আরও চারটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, দেশে এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে অবদান রাখার প্রয়াসে ২০১৬ সালে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এর ৮৭টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসডিজির বিভিন্ন অভীষ্ট নিয়ে কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।