পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিপিডি বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে কমাতে হবে বৈষম্য। দেশ বা সমাজ অর্থের বৈষম্যে তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে সম্পদেরও বৈষম্যে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো দূর করতে হলে আমাদের চিন্তার ও ধারণার পরিবর্তন আনতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সিপিডি আয়োজিত ‘নাগরিক সম্মেলন ২০১৭ : বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সম্মেলনের প্রারম্ভিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কাউকে পেছনে রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে না। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে বৈষম্যের শিকার সবাইকে উন্নয়নের অংশীদার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, তাদের তোমরা পিছিয়ে রাখতে পারবা না। বৈষম্য দূর করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করবো। এজন্য আমরা একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি।
বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে। মেধা এখন শক্তির পরিচয় বহন করে। কিন্তু এর পাশাপাশি মানুষের ব্যর্থতাও কম নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে এখনো বঞ্চিত বহু মানুষ। আমরা দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা দেখে যেমন মুগ্ধ হয়, কিন্তু ভুলে যায় বহু মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে। সমাজ ও দেশে নিষ্ঠুরতা বেড়েছে, তার প্রমাণ রোহিঙ্গা নির্যাতন, ঘরে ঘরে নারী নির্যাতন।
মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, প্রতিটি নাগরিক যেন তার নাগরিকত্ব বোধ থেকে মনে করেন, আমরা পেছনে পড়ে থাকবো না। সবাই আজ শপথ করবো, কেউ আমাদের পেছনে ফেলে রাখতে পারবে না।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান, ইউএনপডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ইয়াকো একোসাকা, রাশেদা কে চৌধুরী, আসিফ ইব্রাহিম, সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।