দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ আবদুল মতিন বিন হাফিজ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মি’রাজের দ্বিতীয় পর্যায়
মি’রাজের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় বায়তুল মোকাদ্দাছ থেকে এবং শেষ হয় সিদ্্রাতুল মোন্তাহাতে গিয়ে। প্রথম আকাশে গিয়ে জিব্রাইল (আ.) ডাক দিলেন প্রথম আকাশের ভারপ্রাপ্ত ফেরেস্তাকে এবং দরজা খুলে দিতে বললেন। উক্ত ফেরেস্তা পরিচয় নিয়ে হুযুর (সা.)-এর নাম শুনেই দরজা খুলে দিলেন। প্রথমেই সাক্ষাৎ হলো হযরত আদম (আ.)-এর সাথে। হুযুর (সা.) তাঁকে ছালাম দিলেন। কেননা ভ্রমণকারীকেই প্রথমে সালাম দিতে হয়। হযরত আদম (আ.) নবীগণের আদি পিতা। তাই তাঁকে দিয়েই প্রথম অভ্যর্থনা শুরু করা হলো। হযরত আদম (আ.)-এর নেতৃত্বে অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরাম এবং প্রথম আকাশের ফেরেস্তারা উক্ত অভ্যর্থনায় যোগদান করেন। এমনিভাবে দ্বিতীয় আকাশে হযরত ঈসা, হযরত যাকারিয়া ও হযরত ইয়াহ্্ইয়া (আ.) এবং অন্যান্য নবী ও ফেরেস্তারা অভ্যর্থনা জানালেন।
হযরত যাকারিয়াও উক্ত অভ্যর্থনায় শরীক ছিলেন। নবী করিম (সা.) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন- “যখন আপনাকে করাত দ্বারা দ্বিখ-িত করা হচ্ছিল-তখন আপনার কেমন অনুভব হয়েছিল? উত্তরে যাকারিয়া (আ.) বললেন-তখন আল্লাহ তায়ালা আমাকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন-“আমি তোমার সাথে আছি। এতদশ্রবণে আমি মউতের কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। প্রকৃত আশেকগণের মউতের সময় নবীজীর দিদার নছিব হয়। তাই তাঁদের মউতের কষ্ট অনুভূত হয় না। (আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া : যাকারিয়া আধ্যায়)। তৃতীয় আকাশে হযরত ইউসুফ (আ.)-এর নেতৃত্বে অন্যান্য নবী ও ফেরেস্তাগণ নবী করিম (সা.)কে অভ্যর্থনা জানান এবং ছালাম কালাম বিনিময় করেন। চতুর্থ আকাশে হযরত ইদ্রিছ (আ.), পঞ্চম আকাশে হযরত হারুন (আ.) ফেরেস্তাগণসহ অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন। ৬ষ্ঠ আকাশে হযরত মুসা (আ.)-এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি অভ্যর্থনা জানিয়ে বিদায়কালে আশ্চর্য হয়ে বললেন-“এই যুবক নবী শেষকালে এসেও আমার পূর্বে বেহেস্তে যাবেন এবং তাঁর উম্মতগণ আমার উম্মতের পূর্বে বেহেস্তে প্রবেশ করবে”। হযরত মুসা (আ.) নবী করিম (সা.) ও তাঁর উম্মতের বিশেষ মর্যাদা দেখে আনন্দাশ্রুর কান্না কেঁদেছিলেন। যেমন মা সন্তানের কোন সুসংবাদ শুনতে পেলে আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তাঁর এই আফ্সোস ছিল আনন্দসূচক ও স্বীকৃতিমূলক-বিদ্বেষমূলক নয়, এটাকে ঈর্ষা বলে। গিব্তা বা ঈর্ষা করা শরিয়তে জায়েয-কিন্তু হাছাদ বা হিংসা করা জায়েয নয় (মিশকাত)।
হযরত মুসা (আ.) সে সময় নবী করিম (সা.)-এর নিকট একটি হাদীসের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। হাদীসটি হলো-নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন।
“আমার উম্মতের যাহেরী-বাতেনী এলেম সম্পন্ন আলেমগণ বনী ইসরাইলের নবীগণের ন্যায় (এলেমের ক্ষেত্রে)। নবী করিম (সা.) উক্ত হাদীসের যথার্থতা প্রমাণের জন্য রুহানী জগৎ থেকে ইমাম গাযালী (র:) কে হযরত মুছা (আ.)-এর সামনে হাযির করালেন। হযরত মুসা (আ.) বললেন- “আপনার নাম কি? উত্তরে ইমাম গাযালী (র:) নিজের নাম, পিতার নাম, দাদার নাম, পরদাদার নামসহ ছয় পুরুষের নাম বললেন। হযরত মুসা (আ.) বললেন, আমি শুধু আপনার নাম জিজ্ঞেস করেছি। আপনি এত দীর্ঘ তালিকা পেশ করলেন কেন? ইমাম গাযালী (র:) আদবের সাথে জবাব দিলেনÑ “আড়াই হাজার বৎসর পূর্বে আপনিও তো আল্লাহ তায়ালার ছোট্ট একটি প্রশ্নের দীর্ঘ উত্তর দিয়ে ছিলেন”। ইমাম গাযালীর (র:) এলেম ও প্রজ্ঞা দেখে হযরত মুসা (আ.) মুগ্ধ হয়ে গেলেন এবং হুযুর (সা.)-এর হাদীসখানার তাৎপর্য স্বীকার করে নিলেন। (রূহুল বয়ান তৃতীয় পারা ২৪৮ পৃষ্ঠা)।
এখানে একটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। হযরত মুসা (আ.)-এর ইন্তিকালের আড়াই হাজার বৎসর পরে মক্কার জমিনে প্রদত্ত হুযুর (সা.)-এর ভাষণ তিনি শুনতে পেয়েছিলেন-আপন রওযা থেকে। অপরদিকে দুনিয়াতে আসার পূর্বে আলমে আরওয়াহ্্ থেকে ইমাম গাযালী (র:)-এর মত একজন বিজ্ঞ আলী আড়াই হাজার বৎসর পূর্বে তূর পর্বতে ঘটে যাওয়া মুসা (আ.)-এর ঘটনা সম্পর্কেও অবগত ছিলেন। এতে প্রমাণিত হলো-আল্লাহর নবী ও অলীগণকে আল্লাহ তায়ালা বাতেনী প্রজ্ঞা দান করেছেন- যাকে নূরে নযর বা ফিরাছাত বলা হয়। আল্লাহর অলীগণ আল্লাহ প্রদত্ত কাশ্্ফ দ্বারা অনেক সময় মানুষের মনের গোপন কথাও বলে দিতে পারেন। ইমাম আবু হানিফা (র:) কুফার এক মসজিদে জনৈক মুছল্লিকে অযু করতে দেখে বলে ছিলেন-
“তুমি যিনা করে এসেছো। লোকটি অবাক হয়ে বললো, আপনি কিভাবে জানলেন? ইমাম আবু হানিফা (রহ:) বললেন- তোমার অযুর পানির সাথে যিনার গুনাহ্্ ঝরে পড়ছিল।” হাদীসেও অযুর পানির সাথে গুনাহ্্ ঝরে পড়ার কথা উল্লেখ আছে। লোকটি ইমাম সাহেবের বাতেনী এলেম দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল এবং সাথে সাথে ইমাম সাহেবের হাতে তওবা করলো। বড়পীর হযরত গাউছুল আ’যম আবদুল কাদের জিলানী (রহ:) বাহজাতুল আসরার কিতাবে বলেন :
“দুনিয়ার নেককার ও বদকার-সকলকেই আমার দৃষ্টিতে পেশ করা হয় লওহে মাহ্্ফুযে”। লওহে মাহ্্ফুযে নেককার-বদকার সকলের তালিকা রয়েছে। হযরত বড়পীর (র:)-এর নযরও দুনিয়া থেকে লওহে মাহ্্ফুযে নিবদ্ধ। এজন্যই মাওলানা জালালুদ্দিন রুমী (র:) মসনবী শরীফে বলেছেন : “লওহে মাহফুয অলী-আল্লাহগণের নযরের সামনে। এ কারণেই তাঁদের দিব্যদৃষ্টি সমস্ত ত্রুটি থেকে মুক্ত”।
হযরত মুসা (আ.) থেকে বিদায় নিয়ে নবী করিম (সা.) জিব্রাইল (আ.)সহ সপ্তম আকাশে গেলেন। সেখানে হযরত ইব্রাহীম (আ.) ফেরেস্তাগণসহ নবী করিম (সা.) কে অভ্যর্থনা জানালেন। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন- “আমি হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে একটি কুরছিতে বসে বাইতুল মামুর মসজিদের গায়ে হেলান দিয়ে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়েছি” (রুহুল বয়ান)।
হযরত ইব্রাহীম (আ.) দুনিয়াতে আল্লাহর ঘর কা’বা শরীফ তৈরী করেছিলেন। তার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সপ্তাকাশের বাইতুল মামুর মসজিদের মোতাওয়াল্লীর সম্মান দান করেছেন। দীর্ঘ এক হাদীসে এসেছে- বাইতুল মামুরে হুযুর (সা.)-এর সাথে নামায আদায় করেছিলেন সাদা পোশাকধারী একদল উম্মত-যাদের মধ্যে গাউসুল আযমও ছিলেন। (ইরফানে শরিয়ত তৃতীয় খ-)।
আসমানে ভ্রমণের সময়ই নবী করিম (সা.) বেহেস্ত ও দোযখ প্রত্যক্ষ করেন। পরকালে বিভিন্ন পাপের কি রকম শাস্তি হবে, তার কিছু নমুনা তিনি মেছালী ছুরতে প্রত্যক্ষ করেছেন। সুদ, ঘুষ, অত্যাচার, নামায বর্জন, ইয়াতিমের মাল ভক্ষণ, প্রতিবেশীর উপর যুলুম, স্বামীর অবাধ্যতা, বেপর্দা ও অন্য পুরুষকে নিজের রূপ প্রদর্শন, যিনা, ব্যভিচার ইত্যাদির শাস্তি নবী করিম (সা.) স্বচক্ষে দেখেছেন। বেহেস্তে হযরত খাদিজা (রা.)-এর জন্য সংরক্ষিত প্রাসাদ, হযরত ওমরের (রা.) প্রাসাদ, হযরত বেলালের (রা.) পাদুকার আওয়ায-এসব দেখেছেন এবং শুনেছেন। বেহেস্তের চারটি নহরের উৎসস্থল নবী করিম (সা.)কে দেখান হয়েছে। বিসমিল্লাহর চারটি শব্দের শেষ চারটি হরফ থেকে চারটি নহর প্রবাহিত হয়ে হাউযে কাউছারে পতিত হতে দেখেছেন। দুধ, পানি, শরবত ও মধু-এই চার প্রকারের পানীয় বেহেস্তবাসীকে পান করানো হবে। যারা ভক্তি ও ঈমানের সাথে প্রত্যেক ভাল কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবে, তাদের জন্য এই নেয়ামত রাখা হয়েছে। (তাফসীরে রুহুল বয়ানে বিসমিল্লাহর ব্যাখ্যায় এর বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে)। সপ্ত আকাশ ভ্রমণের পর জিব্রাইল (আ.) খাদেম হিসাবে বা প্রটোকল হিসাবে নবী করিম (সা.)কে সিদ্্রাতুল মোন্তাহা বা সীমান্তের কুলবৃক্ষের নিকট নিয়ে যান। হাদীসে এসেছে- “এ বৃক্ষের পাতা হাতীর কানের মত বড় এবং ফল ওহোদ পাহাড়ের ন্যায় বড়। শহীদগণের রূহ মোবারক সবুজ পাখির ছুরতে উক্ত বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করছেন।” নবী করিম (সা.) স্বচক্ষে তা দর্শন করেছেন। সিদরা বৃক্ষ পৃথিবীর সপ্ত তবক নীচ থেকে চৌদ্দ হাজার বছরের রাস্তার উপরে অবস্থিত। সিদ্্রা থেকে আরশের দূরত্ব ছত্রিশ হাজার বৎসরের রাস্তা। সর্বমোট পঞ্চাশ হাজার বৎসরের দূরত্বে আরশে মোয়াল্লা। (ইবনে আব্বাস)। আরশে মোয়াল্লা থেকেই আল্লাহ তায়ালার যাবতীয় নির্দেশ ফিরিস্তাগণের নিকট আসে। হযরত জিব্রাইল (আ.) সিদ্্রাতুল মোন্তাহা থেকেই আল্লাহ তায়ালার যাবতীয় নির্দেশ গ্রহণ করে থাকেন। এখানে এসেই জিবরাঈলের গতি শেষ হয়ে যায়।
মিরাজের তৃতীয় পর্যায় : সিদরা হতে আরশে আজিম পর্যন্ত সিদরাতুল মোন্তাহায় পৌঁছে জিব্রাইল (আ.) নবী করিম (সা.) থেকে বিদায় নিলেন এবং বললেন “সিদ্্রাতুল মোন্তাহার থেকে এক আঙ্গুল-অন্য রেওয়ায়তে চুল পরিমাণ অগ্রসর হলে আমার ছয়শত নূরের পাখা নূরের তাজাল্লীতে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাবে”। সোবহানাল্লাহ!
যেখানে নূরের ফেরেস্তা জিব্রাইল (আ.) জ্বলে যায়, সেখানে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) সশরীরে স্বচ্ছন্দে সামনে অগ্রসরমান। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রন্থের প্রারম্ভে হযরত জাবের (রা.) কর্তৃক বর্ণিত নূরে মোহাম্মদী সৃষ্টির হাদিসখানা আরেকবার পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি- “তিনি আল্লাহর যাতী নূরের জ্যোতি হতে পয়দা হয়েছেন”। বোঝা গেলÑ তিনি মাটি নন। মাটি হলে তথায় জ্বলেপুড়ে ভস্ম হয়ে যেতেন। জিব্রাইল (আ.) আমাদের নবীজীর (সা.) নূরের সামান্যতম অংশের তাজাল্লী দিয়ে সৃষ্টি। যেখানে জিব্রাইলের গতি শেষ, সেখানে থেকে আমাদের নবীজীর (সা.) যাত্রা শুরু। হাকিকতে মোহাম্মদী (সা.) সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ করতে হলে হযরত জিব্রাইল (আ.)-কে জিজ্ঞাসা করতে হবেÑ সিদরাতুল মোন্তাহার পরে জিব্রাইল (আ.) নবীজীকে কেমন দেখেছিলেন। জিব্রাইলও বলতে পারবে নাÑ তারপরের ঘটনা কী ঘটেছিল। ফিরতি পথে হুজুর (সা.)-এর স্বরূপ কেমন ছিল, তা জানতে হবে মূসা (আ.)-এর কাছে। সেদিন তিনি প্রকৃতপক্ষে কাকে দেখেছিলেন?
বিদায়ের সময় জিব্রাইল (আ.) নবী করিম (সা.)-এর কাছে একটি আরজ পেশ করেছিলেনÑ “আল্লাহ যেন হাশরের দিনে জিব্রাইলকে পুলসিরাতের ওপর তার ছয়শত নূরের পাখা বিছিয়ে দেয়ার অনুমতি দান করেন”। উম্মতে মোহাম্মদী যেন উক্ত পাখার ওপর দিয়ে পুলসিরাত পার হয়ে যেতে পারে। নবী করিম (সা.) আল্লাহর দরবারে জিব্রাইলের এই ফরিয়াদ পেশ করলে আল্লাহতায়ালা সাহাবায়ে কেরাম ও আহলে মহব্বতের লোকদের জন্য তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। আল্লাহপাক বলেছিলেন, “জিব্রাইলের পাখার ওপর দিয়ে পুলসিরাত অতিক্রম করার আরজি মঞ্জুর করা হলোÑ আপনার সাহাবি এবং আশেকানদের জন্য”। এই দুই শ্রেণীর লোক জিব্রাইলের পাখার ওপর দিয়ে পুলসিরাত পার হয়ে যাবে। জিব্রাইল (আ.) থেকে বিদায় হওয়ার পর রফরফ নামে এক বাহন এসে নবী করিম (সা.)-কে আরশে আযিমে পৌঁছে দেয়। এ পথে নবী করিম (সা.) সত্তরটি নূরের পর্দা ভেদ করেন। এক এক পর্দার ঘনত্ব ছিল পাঁচশত বছরের রাস্তা। এ হিসাবে ৩৬ হাজার বছরের রাস্তা অতিক্রম করে নবী করিম (সা.) আরশে মোয়াল্লায় পৌঁছলেন। এ পথে যখন তিনি একাকিত্ব অনুভব করছিলেন, তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর আওয়াজ শুনতে পেয়ে শান্ত হয়েছিলেন। আর একটি আওয়াজও তিনি শুনতে পেয়েছিলেন। “হে প্রিয় মোহাম্মদ (সা.) আপনি একটি থামুন, আপনার রব সালাত পাঠ করছেন”। আল্লাহর সাথে দিদারের সময় নবী করিম (সা.) এ দুটি বিষয়ের রহস্য জানতে চাইলেন। আল্লাতায়ালা বললেন, আমার সালাত অর্থ আপনার ওপর দরুদ পাঠ করা। আর আবু বকরের সুরতে এক ফেরেস্তা সৃষ্টি করে আবু বকরের আওয়াজ নকল করা হয়েছিলÑ যেন আপনি শান্ত হন। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।