পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে সম্পাদক পরিষদের সভা গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সাইবার স্পেস ও ডিজিটাল নিরাপত্তায় আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা সম্পাদক পরিষদ সমর্থন করে সভায় তা তুলে ধরা হয়। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩-এর মতো বিতর্কিত ধারাগুলোকে মুক্ত সংবাদমাধ্যমের পরিপন্থী, বাক্স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে বিরোধ বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনে তিনজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর দেয়া সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় সভায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করা হয়। সভাশেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগের কথা মন্ত্রিসভায় উত্থাপন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি সংশোধিত খসড়া প্রণয়নের ব্যাপারে তিনজন মন্ত্রীর দেয়া সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি রক্ষা না হওয়ায় সম্পাদক পরিষদ গভীর হতাশা প্রকাশ করছে। সম্পাদক পরিষদ বিষয়টিকে তিনজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতিতে সংগঠনের আস্থা ও বিশ্বাসের লঙ্ঘন মনে করে। স্মর্তব্য, সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উদ্যোগে; যিনি প্রস্তাবিত আইন নিয়ে নতুন এক দফা আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রæতি দেন এবং সম্পাদক পরিষদকে তাতে আমন্ত্রণ জানান। একই প্রতিশ্রুতি ওই সভায় আইনমন্ত্রী এবং তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও দেয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুত আলোচনা শুরুর একটি সুযোগ ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে প্রেসিডেন্ট সম্মতির মাধ্যমে হারিয়ে গেছে বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে। সাংবিধানিক এখতিয়ারবলে প্রেসিডেন্ট বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠালে ওই আলোচনা হতে পারত।
সম্পাদক পরিষদ অচিরেই শুরু হতে যাওয়া বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি জানাচ্ছে। সম্পাদক পরিষদের মতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে বাক্স্বাধীনতার প্রতি গুরুতর হুমকি বিবেচনা করে সাংবাদিক ও নাগরিক সম্প্রদায় যে উদ্বেগ জানিয়েছে, তা নিরসনের এটাই শেষ সুযোগ।
সম্পাদক পরিষদের সভায় পুলিশি হস্তক্ষেপ ও খেয়াল-খুশিমতো গ্রেফতারের কবল থেকে বাক্স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করতে সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান এবং উদ্বেগ গণমাধ্যমকে জানানোর জন্য ১৩ অক্টোবর শনিবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্পাদক পরিষদের পক্ষ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলা হয়, আমরা আগেও বলেছি এবং আবারো বলছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে আমরা ১. সংবিধানের ৩৯ (ক) ও (খ) ধারায় প্রদত্ত বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা; ২. আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জড়িয়ে থাকা মূল্যবোধ ও স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার; ৩. জাতিসংঘ সনদ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তিতে সুরক্ষিত গণতন্ত্র, মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা ও মৌলিক অধিকারের নীতি; এবং ৪. নৈতিক ও স্বাধীন সাংবাদিকতার মৌল মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ,মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, করতোয়া সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক, দ্য ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বনিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপেসের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নাইম নিজাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।